মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
“মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন,সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন” ‘খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের হবেন না’ ‘বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোন। হ্যান্ড মাইকে এসব শ্লোগান দিতে দিতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পৌরসভা প্রতিটি ওয়ার্ড,ইউনিয়নের গ্রামেগঞ্জে,বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে ঘুরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত করোনা সচেতন করে যাচ্চেন সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নৈশ্যপ্রহরী আব্দুল কাদির।
স্বেচ্চাসেবক আব্দুল কাদির (৫০) ভৈরব উপজেলার কমলপুর আমলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত-আলতাব আলীর পুত্র।তার এক ছেলে,এক মেয়ে এবং তার স্ত্রী গৃহিনী।বর্তমানে তিনি কটিয়াদী সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নৈশ্যপ্রহরীর কাজ করেন।সামান্য বেতনে পরিবার চালানো খুবই কষ্ট এবং মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।
আব্দুল কাদির বলেন,করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় সারাদেশে সব গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ।সেনাবাহিনী,পুলিশ ও জেলা-উপজেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে দিনরাত কাজ করছে। কিন্তু তারপরও সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাফেরা করছেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই নিজ উদ্যোগেই এই কাজটি করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন,গত বছর করোনাভাইরাসের আক্রমণের শুরুতে আমি টানা ৬৫ দিন মানুষকে সচেতন করতে উপজেলার বাজারগুলোতে ঘুরেছি। এখনো ঘুরছি। সকালে বের হওয়ার সময় রুটি,মিষ্টি আলু বা কলা ও পানি নিয়ে বের হই। সারাদিন এগুলো খেয়েই চলে। আমার এলাকার মানুষ এখনো পুরোপুরি সচেতন না। তাদের একজনকেও যদি আমি সচেতন করার চেষ্টা করে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে পারি সেখানেই আমার স্বার্থকতা।’
সর্বমহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছে আব্দুল কাদির মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ। কটিয়াদী পৌর এলাকা দিনের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি এ কাজ করে বেড়াচ্ছেন। আর বাকি সময় তার নিজ ইউনিয়নের গ্রামেগঞ্জে,হাটবাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ও সর্বসাধারন বলেন,এই লোকটাকে প্রতিদিনই দেখি বিভিন্ন হাট-বাজারে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। সরকারিভাবে সাহায্যে সহযোগিতা পেলে মানুষকে সচেতন করতে ওনি আরো বেশি সুযোগ পেতেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮