আমিরুল হক, নীলফামারী।।
রোগীর প্রতি চরম অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠল নীলফামারী সৈয়দপুরে ১০০ শয্যা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রক্ত শূন্যতায় ভুগা রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও রক্ত না দিয়ে ফেলে রেখে অন্যত্র রেফার করার অভিযোগ পরিবারের। গত বৃহস্পতিবার ( ১২ আগস্ট) সন্ধায় রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা এ অভিযোগে হাসপাতালে হট্টগোল করে রোগী নিয়ে বাড়ী ফিরে যায়।
ভুক্তভোগী সূত্র থেকে জানা যায়, উপজলোর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর বালাপাড়া (ফকির পাড়া) বাসিন্দা ভ্যানচালক সাইদুল ইসলামের স্ত্রী মজিলা বেগম (৪৫) অসুস্থ্য হলে তাকে রংপুরের চিকিৎসক ডা. রাজিবুল হকের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীর রক্তে শূণ্যতা দেখা দিলে তাকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ও দুই বেগ রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে গত বুধবার দুপুরে রোগীকে ভর্তি করা হয় ওই হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক যথযথ চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রেখে রক্ত দেওয়ার ডোনার আনতে বলেন। পরের দিন ডোনার আনলে হাসপাতালের ল্যাব টেকনেসিয়ান মামুন রক্তের ম্যাচিং করার জন্য প্রাইভেট ল্যাব প্রাইমে করতে বলেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে ইচ্ছাকৃতভাবে সে ডোনারকে সকল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসিয়ে রেখে বলে রোববার পর্যন্ত রোগী বেঁচে থাকলে সেদিন তাকে রক্ত দেওয়া হবে।
রোগীর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে ভর্তি করার পর থেকেই ডাক্তার ও টেকিনেসিয়ান মামুন চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে রোগীকে তাদের পছন্দমত ক্লিনিকে রেফার করার জন্য চাপদেন। আমি গরিব মানুষ ভ্যান চালিয়ে সংসারের ঘানি টানি। ক্লিনিকে চিকিৎসা কিভাবে করাবো। ফলে রোগীকে ফেলে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা। তাই রোগীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি মরলে বাড়ীতেই মরক।
হাসপাতালের আরএমও ওমেদুল হাসান স¤্রাট বলেন, বিষয়টি আমি রোগী যাওয়ার পর জানতে পেরেছি। এটা একটা ভুল বোঝা-বুঝি হয়েছে। তবে রক্তের ডোনার হাসপাতালে এসে অপেক্ষা করে রক্ত না দিযে ফিরে গেছে এটা দুঃখ জনক। আমি বিষয়টি দেখছি ।
এব্যাপারে নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ওই হাসপাতালে যদি রোগীর প্রতি কোন অবহেলার প্রমান পাওয়া গেলে চিকিৎসক ও টেকনেসিয়ান উভয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮