মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকেরা এ বছর পেঁয়াজ চাষের দিকে ঝুকেছে। বেলে দোআঁশ মাটিতে বেশ ভালো হয়। তাই অত্র এলাকার চড়াঞ্চল কৃষকেরা অল্প খরচে অল্প সময়ে অধিক লাভ জনক ফসল পেঁয়াজ ভালো হওয়ার কারনে অনেক কৃষক এ বছর অত্র অঞ্চলের কৃষকেরা নদীর পাড়ের বেলে দোআঁশ মাটিতে ব্যাপক ভাবে পেঁয়াজের চারা বা পৌল চাষ বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে চাষ করেছে। যদি প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হয় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ থেকে জানা যায় সম্প্রতিক কালে অনেক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদেরকে উৎসাহিত করার জন্য কৃষি প্রনদনা দেওয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নিজ উদ্যেগে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহি হয়েছে। যে কারনে অত্র এলাকায় বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছে কৃষকেরা। যে সমস্ত এলাকায় পেয়াজ চাষ হয়েছে পাইকুড়া, বনগাঁও, কাংশা, ধানশাইল, দুপুরিয়া, আয়নাপুর সহ অনেক এলাকা। প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। উৎপাদন ভালো হলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব। উন্নত জাতের পেঁয়াজ হলে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে প্রায় এক টন। উন্নত জাতের পেঁয়াজের মধ্যে বারি-৪, বারি-৫, বারি-৬। তবে পেঁয়াজের উৎপাদনের সময় অনুয়ায়ি শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ভাগে বিভক্ত আছে। বর্তমানে এ দেশে এখনও দেশী জাতের পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়ে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র হতে বারি পেঁয়াজ-১ (শীতকালীন), বারি পেঁয়াজ-২, (গ্রীষ্মকালীন), বারি পেঁয়াজ-৩ (গ্রীষ্মকালীন), বারি পেঁয়াজ-৪ (শীতকালীন), বারি পেঁয়াজ-৫(গ্রীষ্মকালীন) ও বারি পেঁয়াজ-৬ (শীতকালীন) নামে ৬টি জাত মুক্তায়িত হয়েছে। এখন কৃষকেরা যে সমস্ত পেঁয়াজের চারা রুপন করছে তাহ হলো দেশিও জাতের এবং উন্নত জাতের চারাও চাষাবাদ করছে কৃষকরা।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮