মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্রিয়াধনি মামলা মিটিয়ে নেবার তাগিদ দিলেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে, এ অভিযোগ করেন অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম। গত ১৮ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে ছোনগাছা ইউনিয়নের নওদা ফুলকোচা গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে এঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করেনি।
অভিযোগ সুত্র থেকে জানাযায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের নওদা ফুলকোচা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে শুক্কুর আলী ও তার ভাই আনিসুর রহমানের মধ্যে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে শুক্কুর আলী তার লোকজন নিয়ে বিবাদমান ২১ ডিসিমাল জমিতে মাটি ফেলে ঘর নির্মান করতে গেলে আনিসুর ও তার দুই ভাইয়েরা বাধা দেয়। এসময় শুক্কুর আলী তার আরেক ভাই এবং তাদের লোকজন লাঠিসোটা ও হাতুরি দিয়ে আনিসুরদের আহত করে। এসময় আহত হয়, আনিসুর রহমানের ভাই জয়নাল আবেদিন(৫৫) ও তার ছেলে বুলবুল আবেদিন (২৬) নজরুল ইসলাম (৪৬) ও তার ছেলে কাউসার ইসলাম(১৯) ও নুর মোহাম্মদ (৪২) ।
পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় সেদিন রাতেই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ৭ জন কে আসামী করে একটি অভিযোগ করেন ছোনগাছা ইউনিয়নের নওদা ফুলকোচা গ্রামের আনিসুর রহমানের ভাই জাবেদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম। অভিযুক্তরা হলেন, শুক্কুর আলী মন্ডলের ছেলে বেল্লাল হোসেন (৪৫), হেলাল (৪২), গোলাম হোসেন (৪০), আল-আমিন (৩৫), কাওসার (৩০) এবং মৃত জামাল উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আল আমিন (৪৫), আব্দুল হামিদ ও শুকুর আলী।
এদিকে অভিযোগকারীর চাচা আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,, ঘটনার পর পুলিশ ১৯ তারিখে হাসপাতালে এসে তদন্ত করে। এরপর স্থানীয় মেম্বার ও পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে মামলা না করে আঞ্চলিক ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য চাপ দেয়। আজ পর্যন্ত এখনো পুলিশ এ অভিযোগ আমলে দিয়ে মামলা রজু করেনি। উপরন্ত মামলাটি মিটিয়ে ফেলার জন্য অনেকেই তাগাদা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে শুক্কুর আলীর ছেলে গোলাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সেদিন আমাদের উপরই তারা হামলা চালিয়েছে। স্থাণীয়ভাবে পূর্বেও এ জমির বিষয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তারা মানতে রাজীহয়নি।
এবিষয়ে ছোনগাছা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা নিয়ে এর আগে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। গত ১৮ তারিখের ঘটনায় পুলিশ ও দুই পক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে। যেহেতু এবিষয়টি সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। প্রাথমিক ভাবে আমরা দুই পক্ষকেই বারবার তাগিদ দিয়েছি বিষয়টি মিটানোর জন্য। তবে দুই পক্ষ রাজি না থাকলে তারা যেকোন ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে আমাদের কোন বাধা নেই বলে জানান।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এস আই আলীম হোসাইন বলেন, প্রাথমিক তদন্ত চলছে। উভয় পক্ষ বিষয়টি মিটাতে না চাইলে আইন অনুযাযী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮