মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর হাট-বাজার ইজারাদার আব্দুল কাদের দুলাল গং খাজনা আদায়ের নামে বারুহাস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় গিয়েও ব্যাপাকভাবে চাঁদাবাজি করছে। এমনকি চাঁদা না দিলে লোকজনকে মারধোর ও ধানসহ গাড়িও ছিনতাই করছে ওই ইজারাদার ও তার লোকজন। এ নিয়ে সম্প্রতি তাড়াশ থানায় মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজু ও আব্দুল কাদের দুলালকে আসামি করা হয়েছে। বিনোদপুর হাট-বাজার এলাকায় ও ২ কিঃমিঃ দূরেও অতিরিক্ত খাজনা/চাঁদা আদায়ের ঘটনা নিয়ে এর আগেও অনেক অঘটন ঘটেছে বলে লোক মূখে শোনা যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী লাবু প্রামানিক তনি বলেন আমি গত ২৪ তারিখে সকাল ১০ ঘটিকায় বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বি গ্রামের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের ও ইয়াকুব প্রামাণিকের বাড়ি থেকে ধান ক্রয় করে অটো ভ্যান যোগে আমার নিজ আরৎ বস্তুল যাবার পথে
কুসুম্বি ও পলাশী রাস্তার মাঝখানে আমার ধান নেওয়া অটো ভ্যানগুলো গুরিয়ে
দেয়। এবং আমার নিকট হইতে বাড়ি থেকে ক্রয় করা ধানের খাজনার টাকা দাবি করে। আমি বাড়ির উপর
থেকে ধান ক্রয় করায়, এজন্য খাজনা দিতে অস্বিকার করলে, বিবাদীদ্বয় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ
করে এবং আমার ধানগুলো ভ্যান হতে নামিয়ে নেয়। আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিনোদপুর হাটের ইজারাদার আঃ কাদের দুলাল
ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ও দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়।
এছাড়া আরো ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী লাভু প্রামানিক নিজেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলে এলাকার বেশ কয়েকজন লোক ছুটে এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীর মধ্যে তারা হলেন।হুমায়ুন কবির,মোঃ জাকারিয়া,আব্দুল মালেক ও রউফ সহ আরও অনেকেই এসে ভুক্তভোগী লাবুকে সন্ত্রাসী নামক ইজাদারদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
জানা যায় ওই হাটের ইজারাদার আব্দুল কাদের দুলাল ডাকের পূর্বেই প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লভ্যাংশ রেখে পূর্ব রেইটেই ডাক সম্পূর্ণ করে থাকেন। এটাই ব্যবসার প্রতারণার ভেলকি । ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অধিক লাভবান হয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা আত্মসাৎ করেন। দুঃসাহসিক ভাবে সিমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারে গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করে ক্রেতা বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ও আলোরন সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু এ গুলোর কোন প্রতিকার নেই। এ ঘটনা গুলো নিয়ে ওই এলাকায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগী/জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বারোহাস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন জানান বিনোদপুর হাতে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে কোন প্রকার অবৈধভাবে চাঁদাবাজি যেন না করে নুতন করে সুব্যবস্থায় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি কামনা করছি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮