প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১২, ২০২৫, ৬:২৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১১, ২০২৫, ৩:০১ পি.এম
সাতকানিয়ায় ডাকাত ঘোষণা দিয়ে ২জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ৬ দিন পর থানায় মামলা

মোঃ মিজানুর রহমান, সাতকানিয়া প্রতিনিধি
সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ছনখোলা এলাকায় মসজিদের মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে ২ জামায়াত কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ছয় দিন পর রবিবার সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার।
সোমবার-১০ মার্চ- সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- জাহেদুল ইসলাম। নিহত আবু ছালেক-৪৪- কাঞ্চনা ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে এবং নেজাম উদ্দিন-৪৫- উপজেলার মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মাহমুদুল হকের ছেলে।
মামলায় এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম মানিককে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। তাঁর নাম মামলার আসামিদের তালিকার ৫ নাম্বরে রয়েছে। তার তিন ভাই মোঃ হারুন, মোঃ মমতাজ, মোঃ কামরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ও কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রমজান আলীসহ ৪৭জনকে এজাহারনামীয় এবং ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী আবু ছালেক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী এবং চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে মিথ্যা মামলার আসামি ও জুলুম–নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন ৩ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে শালিসের কথা বলে আবু ছালেক ও তার বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। এরপর শালিস বৈঠক চলাকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে গুজব ছড়িয়ে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে করে হত্যা করা হয়। এরপর মামলার প্রধান আসামি মোঃ হারুন একটি পিস্তল নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে পালিয়ে যান। আমার স্বামী কোনো অন্যায় কাজে জড়িত ছিল না। বাড়ি থেকে ভালো মানুষ বের হয়ে গেছে, কিন্তু ফিরল লাশ হয়ে। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ, মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে না। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- মোঃ জাহেদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আজকের বাংলাকে বলেন, ছনখোলা এলাকায় গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২