মো আসাদুজ্জামান,
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাখাওয়াত হোসেন (৪২)যিনি ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের কেশুরবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের নিষিদ্ধ সদস্য ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ রাস্তার ধারে অবস্থিত ১৫ টি সরকারি গাছ অবৈধভাবে শুক্রবার (২৭ জুন) অবৈধভাবে ও প্রভাব খাটিয়ে কেটে ফেলেন সাখাওয়াত হোসেন ও তার লোকজন। গাছগুলো কাটার পরপরই সেগুলো বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের গ্রাম্য পুলিশ আতউর রহমান। তারা গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসেন উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাদের উপর চড়াও হন। তিনি শাসিয়ে বলেন আমার গাছ আমি কাটবো তোমরা বাধা দেওয়ার কে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনায় তারা হতবাক ও আতঙ্কিত। তারা বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এভাবে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুল হক বলেন, “এটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমরা তাকে বাধা দিতে গেলে উল্টো আমাদের কথার তোয়াক্কা না করে গাছ কেটে ফেলে। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাব।”
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সেটা দেখার দায়িত্ব দিয়েছি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে আমরা আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে এলাকার সাধারণ মানুষ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এভাবে যদি সরকারি সম্পদ দখল ও বিক্রি অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে এমন আরও ঘটনা ঘটবে।
উক্ত ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ঘটলে তারা সাংবাদিকদের সাথে উগ্র অশালীন আচরণ করে এবং সাংবাদিকদের ঘটনায়স্থল থেকে চলে যেতে বলে এবং পরবর্তীতে তারা ১৫ টি গাছ কেটে ফেলে।
এলাকাবাসীর দাবি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের গাছ কাটার ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনের সঠিক নজরদারি ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮