অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্ট।।
বুধবার ১৬ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম শ্রী শ্রী লক্ষী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে লক্ষী পূজা করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন- যে বাড়িতে মা লক্ষ্মী থাকে সেই বাড়িতে সর্বদা সুখ- শান্তিতে ভরে থাকে। জীবনে চলার পথে তাদের কখনো অন্যবস্ত্রের অভাব হয় না।
লক্ষ্মী দেবী সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। লক্ষী দেবী ভক্তদের সৌভাগ্য এবং আশীর্বাদ প্রদান করেন। দেবীকে স্বাগতম জানাতে ভক্তরা তাদের ঘর পরিষ্কার করে ও আলো দিয়ে ঘর সজ্জিত করে। নৈবেদ্য হিসেবে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত করে। ভক্তরা বিশ্বাস করেন- দেবী লক্ষ্মী দর্শনের সময় যত খুশি হন- তত বেশি তিনি আর্শীবাদ করেন।
মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ বা আলপনা ঘরে ভিতর থেকে বাহির পর্যন্ত আঁকতে হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, পায়ের ছাপ দেখে মা লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করে। লক্ষী দেবী ভরা জ্যোৎস্নায় পেঁচাকের সঙ্গে নিয়ে মর্ত্যে আসেন। লক্ষ্মী দেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুরে দেখতে যান কে তাঁর জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করছে। এ কারণে লক্ষ্মীপূজা সন্ধ্যার পর থেকে অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর পুজায় ধান- কয়েন- পান- করি- হলুদ- ঘট হট- আতপ চাল- দই- মধু- চিনি- ঘি-সহ প্রায় সব কয়টি উপাদানই সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পুরন মতে- মা লক্ষী নারায়নের জীবন সঙ্গী সেই কারনে সিঁদুর- হরিতকী- কর্পূর- ঘট- ধরে গামছা- হাড়ি- পঞ্চগব্য- পঞ্চরত্ন-শিসযুক্ত ডাব- ফল-দুর্বা- বাটি- তিরকাঠি-লক্ষী পুজার সময় লাগে।
শারদ পূর্ণিমায় সময় দেবী লক্ষ্মীর আবিভূত হয়েছিলেন। শারদ পূর্ণিমারা উৎসবটিকে দেবীর জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন পালিত হয়। শারদ পুর্নিমার দিনে রাত্রি জাগরণে করে দেবী লক্ষী ও ভগবান বিষ্ণুর পুজা করলে অর্থ ও খাদ্যের অভার হয় না । শারদ পূর্ণিমা রাতে অমৃত বর্ষণ হয়- তাই রাতে চাঁদের আলোয় খির দিয়ে দেবী লক্ষীকে নিবেদন করা হয়। সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, এটি করলে চিরকাল ঘরে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে ।
মা লক্ষী সমৃদ্ধির দেবী। সনাতনধর্মের মানুষের ঘরে ঘরে বইছে উৎসব আমেজ। কোনো কোনো এলাকায় বড় করে প্রতিমা তৈরী করে লক্ষী পুজা করা হয়।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮