মামুন মিঞা, ফরিদপুর:
ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অভিযোগে ৭ জন জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সারারাত অভিযান পরিচালনা করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুবানা তানজিম, ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান।এসময় সাথে ছিলেন পুলিশ ও আনসার সদস্য ।
সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, “ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ১২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ
অভিযানে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এর ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৭ জন কে ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে এবং জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ । এতে ইলিশের উৎপাদন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—
১. হযরত ফরাজী (২২), পিতা পিং ঠান্ডু ফরাজী, সাং নরুদ্দিন কান্দি, বন্দরখোলা, শিবচর;
২. মামুন হাওলাদার (৩০), পিতা পিং আলমগীর হাওলাদার, সাং জংগী কান্দা;
৩. মো. নর-ই-আলম (১৯), পিতা আ. রহিম শেখ;
৪. সালাম খান (২৭), পিতা হালিম খান;
৫. সাগর (২০), পিতা কালাম;
৬. মো. ফারুক (৩৮), পিতা সাহেদ আলী বেপারি;
৭. ঠান্ডু (৩৯), পিতা হারুন হাওলাদার।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮