প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ৭:৫০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১২:৪১ পি.এম
শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না জাবি সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার, বাড়িতে শোকের মাতম

পাবনা প্রতিনিধি:
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার।
পরিবারের আশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো। তা আর হলো না। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই পরপারে পাড়ি জমালেন এই শিক্ষিকা।
এর আগে, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার সফিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
যে বাড়িতে বিয়ের ধুমধাম অনুষ্ঠান করার কথা, পাবনা পৌর এলাকার কাচারীপাড়ার সেই বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিক পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি,
দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির এক মাত্র সন্তান।
বাবা রুমি খন্দকার বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে তার বাসায় গিয়েছিল। পরে সকালে যখন তাকে নির্বাচনের ভোট গণনার কক্ষে ডাকা হয়েছিল,
তখন সেখানে যায়। কিন্তু কক্ষে ঢোকার আগে দরজার সামনেই সে পড়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। গতকাল ভোটগ্রহণের পর আমার সঙ্গে ওর কথা হয়। ও নির্বাচন নিয়ে বেশ খুশি ছিল।
১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে
এসএসসি এবং পাবনা মহিলা কলেজ থেকে ২০১১ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার মরদেহ এখন পাবনার পথে। পাবনা পৌর এলাকার নিজ মহল্লা কাচারীপাড়া মসজিদে বাদ এশা তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পাবনার আরিফপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২