মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
সারা-দেশের মানুষ ঈদ আনন্দে ব্যাস্ত থাকলেও শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকেরা ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির ক্ষয় ক্ষতির কারনে হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সূত্র মতে জানা যায় গত ৩দিন পূর্বে শ্রীবর্দী উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলে বন্য হাতির আক্রমনে এক কৃষক প্রাণ হারায়। এরপর ঐ এলাকা থেকে এখন ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল গজনি, নওকুচি, হালচাটি ও গুরুচরন দুধনই এলাকায় বণ্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে অবস্থান করছে। দিনের বেলায় ঝিনাইগাতির সীমান্তে বর্ডার রোডে বন্য হাতি চলাচল করছে। হাতির ভয়ে বর্তমানে বর্ডার রাস্তায় চলাচল করতে সাহস পাচ্ছে না এলাকার লোকজন। এবং কি সীমান্ত অঞ্চলের দরিদ্র প্রান্তিক কৃষকের উঠতি বোর ফসল এখন বন্য হাতির খাবারে পরিনত হয়েছে। যদি কৃষকের উঠতি বোর ফসল বন্য হাতির হাত থেকে রক্ষা করতে না পারে। তাহলে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষেরা পুরো বছর না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করতে হবে। এছাড়াও বাড়ি ঘর ফসল হানি সহ জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে দিন রাত যাপন করতে হচ্ছে সীমান্তের নিজ বাড়িতেই। উল্লেখ্য গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরন লোকালয়ে তান্ডব চালিয়ে জান মালের ক্ষয় ক্ষতি চালিয়ে আসছে। কিন্তু এর কোন স্থায়ী সমাধান হয়নি। ফলে প্রাণ হানি পুঙ্গত্ব সহ ফসলের ক্ষতি করেই চলছে এই বন্য হাতির দল। বর্তমানে ঝিনাইগাতি সীমান্তে বন্য হাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে চলেছে। আর কৃষকেরা তাদের ফসল বাচাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে মশাল জালিয়ে নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে। কৃষকের ফসল ও ঘড় বাড়ি রক্ষা করেতে গিয়ে দির্ঘ এক যুগের বেশি সময়ের মধ্যে অর্ধশত প্রাণ হানি শতাধিক বেক্তি পুঙ্গত্ব বরন করতে হয়েছে। এছাড়া কৃষকের কোটি কোটি টাকার ফসলের ক্ষয় ক্ষতি করে চলেছে এই বন্য হাতির দল। এমনিতেই প্রাকৃতিক দূর্যোগে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এরপর আসন্ন ঈদ এমন অবস্থায় বন্য হাতির আক্রমনে কৃষকের মাথায় চরম বজ্রাঘাতের মতো। সারাদেশের মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ উৎযাপনের প্রস্তুতি থাকলেও ঝিনাইগাতি সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের নেই। কারন বন্য হাতির তান্ডবে কৃষকের স্বপ্নের ফসল কেড়ে নিচ্ছে বন্য হাতির দল। আর এই ফসল রক্ষা করতে গিয়ে দিতে হচ্ছে কৃষকের প্রাণ।