মোঃ রাকিবুল হাসান

শেরপুর প্রতিনিধি।।

শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে সরিষা মাড়াই শুরু করেছে। একই সাথে চলতি বোর মৌসুমের বোর চাষের কাজও করছে। এতে কৃষকেরা সরিষা মাড়ায়ের কাজ পাশাপাশি বোর চাষ শুরু হওয়ায় কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে। দীর্ঘ সময় থেকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে কৃষকের সরিষা মাড়াই ও বোর চাষের অনেকটাই বিঘিœত হচ্ছে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর ঝিনাইগাতি উপজেলায় গত বছরের চেয়ে ৩ গুন বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছর সরিষা চাষ হয়েছে প্রায় ৬শ” একর জমিতে আর এ বছর সরিষা চাষ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮শ” একর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা অনেক ভালো হয়েছে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা নাদিয়া আক্তার , ফরহাদ হোসেন , উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক, মো.আল-আমিন সহ কৃষি বিভাগের পরামর্শে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যে সমস্ত সরিষা এ বছর কৃষকরা বারি-১৪, বারি-৪, বিনা-৯, টরি-৭ সহ অন্যান্য আরো অনেক জাতের সরিষা চাষ করেছে। এই সমস্ত চাষাবাদ কৃত সরিষার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাত হলো বারি-১৪ ও টরি-৭। আবাদ কৃত সরিষা এখন মাড়ায়ের কাজ ব্যপক ভাবে শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য ঝিনাইগাতি উপজেলা সম্প্রসারণ বিভাগের মাধ্যমে ৩ হাজার দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা সরিষা চাষের জন্য প্রণোদনা হিসাবে সার ও সরিষা বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষকরা উৎসাহি হয়ে সরিষা করেছে। এতে কৃষকরাও যেমন আর্থিক ভাবে লাভবান হবে তেমনি দেশের তেল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে উৎপাদিত সরিষা। অপর দিকে বোর চাষ বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আরো বারতি জমিতে বোর চাষের সম্ভাবনা লক্ষ করা যাচ্ছে। কারন ধানের বাজার ভালো থাকায় কৃষকরা বোর চাষে আগ্রহি হয়ে উঠেছে। বিগত বছর অত্র উপজেলায় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোর চাষ হয়েছে। এ বছর আরো বেশি জমিতে বোর চাষের সম্ভাবনা লক্ষ করা যাচ্ছে। কারন হিসাবে কৃষকদের কাছে থেকে জানা যায় বোর চাষের জন্য প্রতি একর জমিতে খরচ হয় প্রায় ২৫/৩০ হাজার টাকা। প্রতি একর জমিতে ধান উৎপাদন হয় প্রায় ৫০/৬০ মণ। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য ভালো ছিলোনা বিগত সময়ে যে কারনে অনেক কৃষকেরা বোর চাষে আগ্রহ কমতে থাকে। বর্তমানে ধানের মূল্য ভালো থাকায় অনাগ্রহ কৃত বোর চাষিরা আবার আগ্রহি হয়ে উঠেছে। যে কারনে ধারনা করা হচ্ছে আগের চেয়ে আরো বেশি জমিতে বোর চাষের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।ৃ