মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলাতে চলতি আউশ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ১২শ” ৫০ জন কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণদনার তালিকা চুড়ান্ত করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে বরাদ্দ কৃত কৃষি প্রণদনা অত্র উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ১২শ’ ৫০ টি কৃষি প্রণদনা অনুপাতিক হারে বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে। উক্ত বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের কৃষি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগন কৃষকের প্রণদনার তালিকা প্রস্তুতির কাজ করছে। তালিকা চুড়ান্ত হলেই দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে সরকারি ভাবে বরাদ্দ কৃত কৃষি প্রণদনা প্রদান করা হবে। প্রত্যাক কৃষককে প্রতি ১ বিঘা জমির জন্য ১০ কেজি ডি.এ.পি, ১০ কেজি এম.ও.পি ও ৫ কেজি আউশ বীজ ধান প্রদান করা হবে। এই প্রণদনার ফলে দরিদ্র প্রান্তিক চাষিরা এই কৃষি প্রণদনার ফলে অনেকে আগ্রহী হয়ে আউশ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদনে অত্যান্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ইতি পূর্বে অত্র অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে কৃষকেরা আউশ ধান চাষাবাদ করতো। কিন্তু ভালো মানের বীজ না থাকায় এবং সেচ ব্যাবস্থা সেই সময় না থাকায় আউশের উৎপাদন ভালো হতো না। প্রতি একরে আউশ উৎপাদন হতো ১২ থেকে ১৫ মণ। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে লাভ না হওয়ায় দিন দিন কৃষকেরা আউশ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়। বর্তমানে ভালো মানের বীজ ও সেচ ব্যাবস্থা ভালো থাকায় আউশ উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক ভালো হবে। তাই কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সরকারি ভাবে আউশ উৎপাদনে কৃষকেদের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে। যাতে কৃষকরা আবার আউশ উৎপাদনে মনোযোগি হয়। আধুনিক পদ্ধদিতে ভালো মানের বীজ দিয়ে সুসম সার ও পরিচর্যার মাধ্যেমে আউশ ধান চাষ করলে প্রতি একরে ৫০ থেকে ৬০ মণ ধান উৎপাদন করা সম্ভব। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান সরকারী ভাবে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদেরকে খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করতে সরকারি ভাবে এই কৃষি প্রণদনা দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাদের দেখা দেখি আরো কৃষক আউশ ফসল উৎপাদনে উৎসাহি হয়ে চাষাবাদ করে। কোন জমি পতিত না রেখে প্রত্যাক কৃষক উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উৎপাদনে মনোযোগী হয়। এতে কৃষকরাও লাভবান হবে এবং দেশের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮