নিউজ ডেস্ক:

শীত দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন গাজার অসংখ্য ফিলিস্তিনি পরিবার। ঠান্ডার আগে মাথাগোঁজার ব্যবস্থা করতে তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী আশ্রয় বানাচ্ছেন তারা।

স্থানীয়রা আশপাশে পাওয়া যেকোনো ব্যবহারযোগ্য উপকরণ—টিন, কাঠ, কাপড়, এমনকি ধ্বংসস্তূপের ধ্বংসাবশেষও কাজে লাগাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নির্মাণকৌশল ব্যবহার করে অস্থায়ী ঘর তৈরি করছেন, যা অন্তত আসন্ন শীতের কঠিন আবহে কিছুটা নিরাপত্তা দেবে বলে আশা করছেন অনেকে।

গাজায় শীতপ্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয় ও উষ্ণতার প্রয়োজনও বেড়েই চলেছে। কিন্তু বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য নির্ধারিত তাঁবু, কম্বল ও অন্যান্য শীতকালীন সামগ্রী এখনো জর্ডান ও মিসরে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র গুদামে আটকে আছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব সহায়তা পৌঁছাতে না পারলে গাজার হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ইউএনআরডব্লিউএ ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন মানবিক সহায়তা অবাধে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অন্তত শীত মৌসুমে বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুযোগ পায়।