প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৫, ২:১১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৩০, ২০২৫, ২:৪১ পি.এম
শরীয়তপুরে আলিম পরিক্ষায় ন’কলে’র দা’য়ে একজন ব’হিষ্কা’র

মো: আব্দুর রহিম,
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আলিম পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় নিয়ম ভঙ্গের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নকলের দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে চলমান সব বিষয়ের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এবং নির্ধারিত সময়ের অনেক পর কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ায় আরেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
রবিবার (২৯ জুন) উপজেলার
জাজিরা শামসুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষায় এই দুটি ঘটনা ঘটে।
সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলে কিছু সময় পর কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায়। পরীক্ষাকক্ষ পরিদর্শনের সময় এক পরীক্ষার্থীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে ইউএনও তার দেহ ও আসন তল্লাশি করেন। এ সময় তার কাছ থেকে নকলের কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু চিরকুট উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পরপরই কেন্দ্র সচিব মো. নোয়াব আলি খান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ঐ পরীক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়। আদেশে বলা হয়, তিনি চলমান আলিম পরীক্ষার বাকি কোনো বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
একই দিনে আরেক শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর কেন্দ্রে উপস্থিত হলে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, তাকে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র বিতরণের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে নতুন করে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না।
কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, “নকল ও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছি। সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত না হলে কিংবা অসদুপায় অবলম্বনের প্রমাণ মিললে, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
ঘটনাগুলোর পর শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে স্থানীয়রা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের এমন কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, সময়জ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২