তৌহিদ বেলাল
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।।
কক্সবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন অঞ্চল সমুহে চলমান বিদ্যুতের লোডশেডিং মেনে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতি জানায়, বর্তমানে দেশে বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজানের শুরুতে তাপমাত্রা ছিল ২৫-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪১-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পবিত্র রমজানের শুরুতে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের প্রাপ্যতা/সরবরাহ সমান সমান ছিল। ফলে সে সময় লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হতো না। বর্তমানে অত্যাধিক গরমের কারণে গ্রাহক প্রান্তে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। অনেকেই একটি ফ্যানের পরিবর্তে একাধিক ফ্যান/এসির ব্যবহার করছেন। কিন্তু সে অনুযায়ী বিদ্যুতের প্রাপ্যতা/সরবরাহ বাড়েনি। সারাদেশে এভাবেই চাহিদা বেড়েছে এবং ঘাটতি রয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময় বিদ্যুতের চাহিদা ও প্রাপ্যতার মধ্যে সমন্বয় করতে হচ্ছে। যার কারণে সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন সকল উপজেলার প্রতিটি এলাকায় পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং করার প্রয়োজন হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ একটি চলমান প্রক্রিয়া। একে সঞ্চয় করে রাখার কোন সুযোগ নেই। অনেক গ্রাহকই অনুরোধ করেন, দিনের বেলা ১-২ ঘন্টা লোডশেড দিলেও রাতে বা ইফতার কিংবা তারাবির নামাজের সময় বা সাহরির সময় বিদ্যুৎ যাতে না যায়। কিন্তু বাস্তবতা অনুযায়ী সেটা সম্ভব নয়। কারণ রাতে বা ইফতারের সময় বা তারাবির নামাজের সময় কিংবা সাহরির সময় যদি আমরা গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ না পাই, তাহলে কিছু সংখ্যক গ্রাহককে লোডশেডিংয়ের আওতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে, যার জন্য কক্সবাজার পবিস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করা যায়, খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
তাই গ্রাহকদের ধৈর্য্য ধারণসহ লোডশেডিংয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮