তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাট সদর থানায় দায়েরকৃত মস্তকবিহীন চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ হাসিনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী আশরাফুলকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে একটি প্রেস ব্রিফিং করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম।
১০ মার্চ “সোমবার” দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই প্রেস ব্রিফিং-এ মামলাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত জানান এসপি মো. তরিকুল ইসলাম।
মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ৯ মার্চ “রবিবার” দুপুর আনুমানিক ৩:৫০ মিনিটে জেলা গোয়েন্দা শাখা “ডিবি”একটি অভিযান চালিয়ে লালমনিরহাট সদর থানার পিংকির মোড় এলাকা থেকে মস্তকবিহীন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি ও নিহত হাসিনার স্বামী মো: আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুলের কাছে জানা যায় যে, গত ৪ মার্চ “মঙ্গলবার” রাত আনুমানিক ৯ টায় সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামে অবস্থিত কৃষক শফিকুল ইসলামের ভুট্টাখেতে একাধিক ব্যক্তির সহায়তা নিয়ে স্ত্রী হাসিনার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করেন তিনি। পরে আশরাফুল তার নিজস্ব ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানে করে বিচ্ছিন্ন ওই মাথা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন্নেছাকে দেখান। এরপর গত ৫ মার্চ “বুধবার” ভোররাতে তার বাড়ির পূর্ব দিকে ভারতীয় সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত একটি বাঁশঝাড়ে মাথাটি পুঁতে রাখেন।
পুলিশ সুপার বলেন, “নিহত হাসিনা বেগম আসামি আশরাফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রাথমিক অনুসন্ধানে আসামি আশরাফুলের প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। “
তিনি আরও জানান, ঘটনার সাথে ধারাবাহিকভাবে জড়িত ও ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল যেমন আসামির ব্যবহৃত হাসুয়া, তার পরিহিত জামাকাপড়, পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মাথা বহনের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ব্যাগ ও হাসিনার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথা বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে উদ্ধার করা হয়।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮