স্টাফ রিপোর্টার
ভোলা।।
গত দুমাস ধরে ভোলায় লাফিয়ে- লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগী। দিন যতই যাচ্ছে ততোই দ্বীপ জেলা ভোলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যদিও কিছুটা জনবল সংকট থাকায় ধীরগতিতে চলছে চিকিৎসা সেবা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অচিরেই কেটে যাবে জনবল সমস্যা। গেল কয়েকদিনে উদ্বেগ জনক হারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ায় মৃত্যুর হার একেবারে কম বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। যদিও এই পর্যন্ত ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
১১ আগষ্ট শুক্রবার সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখনো পর্যন্ত পুরো জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০জন হলেও ১১ আগষ্ট শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ ৩৩ ঘন্টায় ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। এখনো পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ১০৪ জন। যদিও কিট সংকটের কারণে গেল তিন চার দিন ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় হাসপাতালটিতে অনেকটা রোগীর চাপ বেড়েছে বলে ধারণা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,জেলার একটি ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে শুধু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন ৫০ থেকে ১০০ জন রোগী। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় তাদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নার্সরা।
ভোলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ২৪টি। রোগীর চাপ বেশি থাকায় আরও ৮টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও চিকিৎসা নিতে এসে শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে মেঝেতে অবস্থান করতে হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে রোগীদের।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এক রোগী বলেন,এখানে ভর্তি হয়ে সিট পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে, কারণ এখানে প্রচুর ডেঙ্গু রোগী আসছে প্রতিদিন। সিট না থাকায় অনেক রোগী ভর্তি হয়ে ফ্লোরে আছেন। এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো। তবে যে পরিমাণ রোগী দেখছি, সে পরিমাণ নার্স আপুদের দেখছি না। যদিও নার্স আপুরা আমাদের যথেষ্ট খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা আক্তার বলেন, এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো। তবে নার্স সংকট। বর্তমানে আমার ফিমেল ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগী ৬১ জন। কিন্তু একা আমাকেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্স সংকট এবং রোগীর চাপ থাকায় একা আমি সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। একার পক্ষে রোগী সামলানো কষ্টকর।
ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,কিছুটা জনবল সংকট থাকলেও ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আগে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে বেড ছিল ২৪টি রোগীর চাপ থাকায় আরো ৮ বাড়িয়েছি। তাদের চিকিৎসায় কোনরকম অবহেলা করা হচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে রোগীর অবস্থা দেখে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
এদিকে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে ভোলা পৌরসভা থেকে মশক নিধন অভিযান চললেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮