শওকত আলম , কক্সবাজার:
রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অন্যতম মূলহোতা হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন এনজিও প্লাটফর্মের কর্মকর্তা আমির হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে এনজিও প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত থেকে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
সরকারি অফিসপাড়ায় প্রতিনিয়ত তদবিরে ব্যস্ত থাকা এই কর্মকর্তা নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে এনজিও টেন্ডার বাণিজ্যের সাথেও সরাসরি জড়িত। ভুক্তভোগীরা জানান, এনজিওতে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি রুবাইয়া নামে রামুর এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন, আমির হোসেন চাকরির কথা বলে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিলেও তিন মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো চাকরি দেননি। টাকা ফেরত চাইলে উল্টো হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরকম অসংখ্য ভুক্তভোগী রয়েছেন তার বিরুদ্ধে। একসময় তিনি ফেনী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় মদের আসর থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতেন বলেও জানা যায়।
সম্প্রতি চাকরি হারানো হোস্ট শিক্ষকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন আমির হোসেন। বিদেশি দাতাদের কাছে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন তিনি। এতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।
চাকরিচ্যুত শিক্ষক হারুন রশিদ বলেন, “এনজিও প্লাটফর্মের কর্মকর্তা আমির হোসেন বিভিন্ন মিটিংয়ে আমাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিচ্ছেন, যা স্থানীয়দের জন্য হতাশাজনক। আমরা তার অপসারণ চাই।”
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সম্প্রতি কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রায় ৬০ লাখ টাকায় জমি কিনেছেন তিনি। এছাড়াও এনজিও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন টেন্ডার বাণিজ্যে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের মতে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এনজিও প্লাটফর্মের এই কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮