রাজধানী ঢাকা শহরের খুব কাছাকাছি বানিজ্যিক রূপসীর সিটি জোন। বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি ঘোষিত বানিজ্যিক এলাকা। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে শত শত শিল্প কারখানা ও মেইল ফেক্টরী। ওই পতিষ্ঠান গুলোর মালামাল সরবাহ করার এক মাত্র মাধ্যম হচ্ছে রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়ক। তাছারা এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে কয়েক ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার মানুষ।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে গাড়ি চালক, গ্রামবাসী ও পথচারীদের দূঃখ কষ্টের কথা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী রীতিমতো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রাথনা করার পরে ওই রূপসী-কাঞ্চন সড়কে বেড় হয়। আতঙ্কে থাকে যেনো গাড়ি উল্টে না যায়।
প্রতিনিয়তই ওই বাইপাসে কোথাও না কোথাও ৫ থেকে ৭ টি গাড়ি বিকল হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে দুই একটি গাড়ি উল্টে রোড ব্লক হয়ে যায়। এতে করে দিন দিন বেড়েই চলেছে জনসাধারনের ভোগান্তি। আর গাড়ি বিকল হলেই শুরু হয় পুলিশ ও চাঁদাবাজদের ঝামেলা। চালকগন রাস্তায় গাড়ি চালাই ঠিক। কিন্তু পিজ খুজে পাই না। পুরো রাস্তায় শুধু কাদা আর মাটি। মাঝে মধ্যে পরে বিশাল বিশাল গর্ত, ওই গর্ত গুলোতে চাকা পরলে কখন যে গাড়ি উল্টে যায় । তারা নিজেরাও তা বুঝে উঠতে পারে না।
পথচারী ও গ্রামবাসীদের মাঝে দিন দিন ক্ষোপ বেড়েই চলেছে। পিঁপরার গতিতে চলছে সড়কের কাজ। রূপসী-কাঞ্চন সড়ক প্রায় ১৪ কিঃ মিঃ তবে এর মধ্যে এখনও এক কিঃ মিঃ সড়কের কাজও হয়নি। এখন আর এই বাইপাসে হাটা যায় না। গ্রামের শাখা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। গাড়ি ভাড়া তো বেশি লাগেই, সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক লাখ লাখ কর্ম ঘন্টা। ফলে বেড়েই চলেছে যানজট । আর ওই যানজট আঘাত আনছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর।
খানাখন্দে ভরা নারায়ণগঞ্জের রূপসী-কাঞ্চন সড়ক। রূপগঞ্জের রূপসী-কাঞ্চন সড়কটি র্দীঘদিন ধরে বেহাল দশা অবস্থায় পরে রয়েছে। প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই, ইট-সুরকি উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দকে। আর এই খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন।
জনসাধারন ও মালবাহীসহ যানবাহন আটকে পরে সৃষ্টি হয় জনভোগান্তি । এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনসাধারন ও পথচারীরা গত ১৪ই অক্টোবর রবিবার দুপুরে কালাদি, ত্রিশকাহনিয়া ও হাটাবো এলাকায় পৃথক ভাবে ঝাড়ু মিছিল, ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছিল। যা একাদিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছিল। এতেও তারা কোন প্রকার সুরাহা পায়নি। পিঁপড়ার গতিতেই চলছে সড়কের কাজ ।
স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার ঝাড়ু মিছিল, ধানের চারা রোপন , বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করেও কোন প্রকার সুরাহা পায়নি। অথচ বাংলাদেশ সরকার এই বানিজ্যিক সড়ককে সচল রাখতে নির্মান করেছেন একাদিক সেতু। এর মধ্যে গাজী সেতু অন্যতম।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮