মাকসুদুল হোসেন তুষার স্টাফ রিপোর্টা,
পারভেজ হাসান (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মামলার ১ দিন পরই রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ আরমান হোসেন (৩৮) ও মেহেদী হাসান ইমন (২৬) নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছেন রূপগঞ্জ থানা পুলিশ । রোববার (৬জুলাই) মধ্যরাতে কুমিল্লার মুরাদনগর ও তারাব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে (৭ জুলাই) গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আরমান হোসেন রূপগঞ্জ উপজেলার বরাবর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে এবং মেহেদী হাসান ইমন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুচাগড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী , নিহত পারভেজকে সমাকামিতার গোঁপন সম্পর্কের জেরে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুড়িকাঘাত করে আমলাবোর ভাড়া বাসার ছাঁদে ফেলে যায়। পরে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে মারা যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
নিহত পারভেজ হাসান পাবনা জেলার সদর উপজেলার মৃত মজিদ সরকারের ছেলে। গত ৩ জুলাই ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহত পারভেজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান ইমন কুমিল্লা মুরাদনগর থানায় আল আরাফাহ ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, অপর অভিযুক্ত ডাক্তার আরমান হোসেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক।
তদন্তে জানা যায়, উপজেলার আমলাব এলাকায় অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বসবাস করতেন নিহত পারভেজ হাসান। ওই বাসায় গ্রেফতারকৃত আরমান হোসেন ও মেহেদী হাসান ইমন সহ তার সহকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন। এছাড়া পারভেজ হাসানের সমকামী সঙ্গী হিসেবে প্রায় সময় মেহেদী হাসান ইমন বসবাস করতেন। পাশাপাশি ডাক্তার আরমানেরও সমকামিতার সম্পর্ক ছিলো। অভিযুক্তদের সমাকামিতা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৩ জুলাই আমলাবোস্থ গিয়াসউদ্দিন মোল্লার ৫ম তলার ছাঁদে অভিযুক্তরা পারভেজকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাতভর রক্তক্ষরণে মারা যায়। খবর পেয়ে পরের দিন ৪ জুলাই বাসার ছাঁদ থেকে নিহত পারভেজকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন। অভিযুক্তদের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার জড়িত আরো কেউ থাকলে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮