রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
নারায়ণগঞ্জের রপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ভাইস চেয়াম্যানের দেহরক্ষীর গুলিতে গুলিবিদ্ব হয়ে মুড়াপাড়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য তাওলাদ হোসেন ভুইয়ার শ্যালক আব্দুর রশিদ (৩০) নিহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার সময় মীরকুটরছেও এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চনে ৬নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন তালা প্রতিক নিয়ে সিরাজুল ইসলাম এবং টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ফাইজুদ্দিন ফাজু, ফুটবল প্রতিক নিয়ে দিয়ামিন ইসলাম আবু, মোরগ প্রতিক নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস। সিরাজুল ইসলাম রূপগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেল ঘনিষ্টসহচর। এ জন্য ভিপি সোহেল চেষ্টা করেছিলো সিরাজুল ইসলামকে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য। কিন্তু বাকি তিন প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় নির্বাচন হচ্ছে।
টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী ফাইজুদ্দিন ফাজু অভিযোগ করেন, সিরাজুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যানের লোক হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে আমার কর্মী সমর্থকসহ আমাদের তিন প্রার্থী কর্মীরা নির্বাচনী গনসংযোগে বের হলেই সিরাজুল ইলামের লোকজন বাঁধা দেয় এবং কর্মীদের মারধর করে। সিরাজুল ইসলামের এসব কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য তিন প্রার্থীর লোকজন এবং পাশ্ববর্তী ৫নং ওয়ার্ডের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেম্বার তাওলাদ হোসেন বিষয়টি ভিপি সোহেলে জানাতে যায়। এ সময় তাওলাদ হোসেনের শ্যালকের সাথে ভিপি সোহেলের দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন জসুর বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জসিম নিজের বন্দুক দিয়ে মাথায় ঠেকিয়ে আব্দুর রশিদকে গুলি করে। এ সময় রশিদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে ভিপি সোহেল ও তার সহযোগিরা ফাকাঁগুলি করতে করতে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা আব্দুর রশিদকে প্রথমে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুর রশিদের ভায়রা রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ভিপি সোহেল নিজেই আমার ভায়রা রশিদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সোহেল বলেন, ঐ যুবক আমাকে হত্যার উদ্দেশ্রে গুলি ছোড়েন। এ সময় আমার লোকজন আমাকে অনত্র সরিয়ে নেন। তারপর সেখানে কি ঘটেছিলো আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের (সহকারি পুলিশ সুপার)এএসপি আবির হোসেন জানান, ইউপি সদস্য নিবার্চনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের মধ্যে সংর্ঘষে গুলিবিদ্ব হয়ে একজন নিহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে কারা জড়িত তাদের খুজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ জানান, এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮