প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪, ৮:০১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ১২:২১ পি.এম
রূপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের মামলার আসামী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতাকর্মী।।
মোঃ আবু কাওছার মিঠু
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলির ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে।
এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যেপ্রনোদিত অভিহিত করে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এ দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- অবিলম্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
ইতিপূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে অপর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করলে নেতৃবৃন্দ বিগত ৫ নভেম্বর নিম্ম আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় কুচক্রী মহল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যে স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের যোগসাজেশে এবং প্রশাসনের কতিপয় অসত্ কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও একটি মিথ্যা মামলায় সম্পৃক্ত করে।
এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- যেন অবিলম্বে মিথ্যা পাতানো মামলা প্রত্যাহারের করা হয়।
জানা গেছে- গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন বাড্ডা টেকপাড়ার নাছির মিয়ার ছেলে আল আমিন হোসেন -৩০-। এ ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর দায়েরকৃত একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামানসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০- ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। ওই মামলায় রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন- ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য কামাল মিয়া- ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু তাহের, সহ-সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, ক্রীড়া সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু, প্রচার সম্পাদক মামুন মিয়া- কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রহমান মামুনকেও আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপগঞ্জের বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে।
ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সেই সকল বিএনপির নেতাকর্মীরা দায়েরকৃত এ মামলায় কীভাবে আসামী করা হয় তার আমার বোধগম্য নয়।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এ.এম.জেড হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় এমদাদুল হক-২৬- নিহতের ঘটনায় করা মামলায় উক্ত নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ নভেম্বর নিম্ম আদালত থেকে জামিন নেন রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বার বার মামলায় আসামী করা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন- আওয়ামী নেতাকর্মীদের যোগসাজসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়ানো হয়েছে।
এসব মামলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের অব্যহতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিগত দিনে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, সেভাবে ভবিষ্যতেও তাদের রুখতে একবিন্দুও ছাড় দেবোনা। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ফ্যাসিবাদ-বাকশালের মূলোত্পাটন করবো ইনশাল্লাহ। তারা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানান ষড়যন্ত্র করে চলেছে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে। আমরা সকলকে সতর্ক ও সদা সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২