নুর মোহাম্মদ,

মিয়ানমারে পণ্য পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাসহ মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে রামুর গর্জনিয়া বাজারের হাবিবউল্লাহ সওদাগরের নেতৃত্বে চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি ইরফান উল্লাহ, মো: রিদুয়ান ও মো:ইমরান জানান, চোরাই পথ হিসাবে ঈদগাঁও- ঈদগড় ও গর্জনিয়া সড়ককে বেছে নিয়েছে পাচারকারী দলের সদস্যরা।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমারে পাচারকালে গেল ২৩ জুন নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবি অভিযান চালিয়ে গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকায় মিয়ানমারে পাচারকালে একটি মালভর্তি গাড়ি আটক করে। এই ঘটনার জের ধরে গর্জনিয়া বাজারের মোঃ হাবিবুর রহমানসহ পাচারকাজে জড়িত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

তারা জানান, মিয়ানমারে পাচারকারী দলের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক গাড়ি ও মালামাল বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে বসে চোরাচালানে জড়িত সিন্ডিকেট। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে গর্জনিয়া বাজারে বেঁধে রাখারও হুমকি দেয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মুফিজুর রহমান বলেন, 'মিয়ানমারে পাচারকাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে নিয়মিত সহযোগিতা করে যাব'।

তিনি জানান, ছাত্র প্রতিনিধিদের হুমকি-ধমকি প্রদানকারী ও পাচারকাজে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবউল্লাহর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি মিয়ানমারে পাচারকাজে জড়িত নন। ওই মালামাল তার দোকানের জন্য চকরিয়া থেকে আনেন। তবে তিনি বিজিবির কাছে আটক মালামাল ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য জোর দেনদরবার করে যাচ্ছেন বলে জানান।

রামু থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মনির জানান, সম্প্রতি গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়াতে অভিযানে চালিয়ে রামুর আলোচিত ডাকাত ও চোরাচালানে জড়িত শাহিন ও তার সহযোগীসহ বেশ কয়েকজন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। যারা চোরাচালানের সাথে জড়িত তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের আটকে র‍্যাব, বিজিবিসহ পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।