আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হঠাৎ কম্পনে অনেক জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, কম্পনের উৎপত্তি ছিল মিয়ানমার অঞ্চলে, যার মাত্রা ছিল প্রায় ৫.০। এখন পর্যন্ত দেশে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা জানাতে শুরু করেন। অনেকেই ভবনের ভেতর থেকে দ্রুত বাইরে বের হয়ে যান। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উচ্চ ঝুঁকিতে ঢাকা–চট্টগ্রাম অঞ্চল
দেশের ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর তালিকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ সম্প্রতি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, দেশের ভূগোল, মাটির গঠন এবং ঘনবসতির কারণে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের একজন অংশ বলছেন, ৮–৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও ঝুঁকি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। তাই ভবন নির্মাণ কোড অনুসরণ, পুরোনো ভবন সংস্কার, এবং জরুরি উদ্ধার পরিকল্পনা শক্তিশালী করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক কম্পনগুলো চিন্তার কারণ
বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে একাধিক হালকা ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে—
যশোর এলাকায় ৩.৫ মাত্রার কম্পন,
সুনামগঞ্জ–ছাতক অঞ্চলে ৪.০ মাত্রার কম্পন,
এবং মার্চ মাসে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প যা বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশে অনুভূত হয়।
এই ধারাবাহিক কম্পনগুলো বিশেষজ্ঞদের মতে দেশের সক্রিয় ফল্টলাইনগুলো সক্রিয় থাকার ইঙ্গিত দিতে পারে।
সতর্কতা ও জনসচেতনতার ওপর জোর
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূমিকম্প-প্রস্তুতি ও সচেতনতা বাড়ানো এখন জরুরি। ভূমিকম্প অনুভূত হলে কী করতে হবে—
নিরাপদ স্থানে থাকা, খোলা জায়গায় যাওয়া, লিফট ব্যবহার না করা, জরুরি কিট রাখা—এগুলো সম্পর্কে সবার জানা উচিত।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮