মানুষটি আপনার জন্য, নাকি আপনার জন্য নন—তা বোঝার একটি সহজ উপায় আছে। ওই মানুষটির পাশে থাকলে যদি আপনি আত্মবিশ্বাসী, নির্ভার ও ফুরফুরে অনুভব করেন; যদি মনে হয়, আপনি আরও অনেক কিছু করতে পারবেন, তাহলে তিনি আপনার জন্য জুতসই।
কিন্তু তাঁর উপস্থিতিতে যদি আপনি মানসিক চাপে থাকেন, আত্মবিশ্বাসহীনতা বা হীনম্মন্যতায় ভোগেন; যদি ভয় বা অকারণ ক্লান্তি কাজ করে, তবে বুঝতে হবে মানুষটি আপনার জন্য উপযুক্ত নন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষটি আপনার জন্য ‘এনার্জাইজার’ নাকি ‘এনার্জি ড্রেইনার’—এই পার্থক্যটি
বোঝা খুবই জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় লেখক ও কাপল থেরাপিস্ট জুলি মেনানো তাঁর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভুল সঙ্গীর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের কথা তুলে ধরেছেন।
১. আঘাতের পর আঘাত
ভুল সঙ্গী আপনাকে বারবার মানসিকভাবে আঘাত করবেন। এই আঘাত চলতেই থাকবে, যতক্ষণ না আপনি ওই মানুষটিকে ছেড়ে যাওয়ার মতো মানসিক শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন।
২. ওই ব্যক্তি আপনাকে কেমন বোধ করান
ভুল সঙ্গীর সঙ্গে থাকলে আপনি মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্লান্ত, চাপগ্রস্ত কিংবা অসহায় বোধ করবেন। নিজের কাছেই মনে হবে—আপনি যথেষ্ট নন, আপনার ভেতরেই কোনো ঘাটতি আছে।
কিন্তু সঠিক সঙ্গীর পাশে থাকলে, ক্লান্তির মধ্যেও একধরনের উদ্যম অনুভব করবেন। নিজের ভেতর নতুন শক্তি পাবেন, নিজেকে ভালো লাগবে।
৩. সম্পর্কে যে বিষয়ে কোনো ছাড় নেই
পরিবার, বন্ধু বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সামনে আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করা বা ছোট করে কথা বলা—এগুলো স্পষ্ট লক্ষণ যে সঙ্গীটি আপনার জন্য জুতসই নন।
তিনি যদি আপনাকে মানুষ হিসেবে মূল্য না দেন, আপনার মতামতকে গুরুত্ব না দেন বা আপনার ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান না করেন, তবে বুঝতে হবে সম্পর্কটি সঠিক পথে নেই।
৪. ‘সরি’ বলার ক্ষমতা
ভুল করার পর যদি সঙ্গী ‘সরি’ বলতে না পারেন, শুরুতে বিষয়টি ছোট মনে হলেও সময়ের সঙ্গে তা গুরুতর হয়ে ওঠে। দোষ স্বীকার না করার এই প্রবণতা শেষ পর্যন্ত আপনাকেই সব কিছুর জন্য দায়ী করে তুলবে। দায় নিতে নিতে একসময় আপনি মানসিকভাবে নিঃশেষ হয়ে যাবেন—যা কোনোভাবেই সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ নয়।
৫. শুধু সমঝোতায় টেকে না সম্পর্ক
আপনার ত্যাগ বা বিসর্জনের ওপরই কি সম্পর্ক টিকে আছে? কোনো সম্পর্কই আসলে ফিফটি–ফিফটি নয়, বরং ১০০–১০০। অর্থাৎ দুজনকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হয়।
সময় গড়ানোর সঙ্গে হয়তো আপনি আর আগের মতো গুরুত্ব পাচ্ছেন না। মেসেজ সিন হতে দেরি হচ্ছে, রিপ্লাই আসছে আরও দেরিতে। দিনের শেষে আপনাকে বলার মতো তাঁর কিছুই থাকছে না। উল্টো এসবের জন্য দায় চাপানো হচ্ছে আপনার ওপরই। সম্পর্কটি ধীরে ধীরে একতরফা হয়ে উঠছে।
লাইসেন্সধারী সম্পর্কবিশেষজ্ঞ ও থেরাপিস্ট জুলি মেনানো বলেন, সম্পর্কের যেকোনো পর্যায়ে এসব লক্ষণের যেকোনো একটি যদি প্রকটভাবে দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮