মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পল্লীর কিচমত জামুয়ার গ্রামের আধা কিলোমিটার ইট সোলিং রাস্তার ইট তুলে ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই রাস্তার পাশে বসবাসকারী অর্ধশকাধিক পরিবারসহ এলাকার লোকজন।
প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার্র ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিছমত জামুয়া গ্রামের উত্তর পাড়া সাবেক এটিও মরহুম একেএম শফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে বাগলেরহাট পর্যন্ত আধা কিলোমিটার ইট সোলিংয়ের এ রাস্তাটি ২০ বছর পূর্বে সরকারি বরাদ্ধে নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি ওই রাস্তারই এক অংশের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান খান ও তার লোকজন সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য ইটসলিংয়ের রাস্তাটির ইট তুলে ফেলেছে। ফলে জনভোন্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের অর্ধশতাধিক পবিবারসহ শিক্ষার্থীরা।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর, বাগেরহাট জেলা শহর, পার্শবর্তী রাজৈর, আমবাড়িয়া, কালিকাবাড়ি এবং সিমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলার পর্ত্তাশী, চন্ডিপুর, বাগলেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সাথে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এ রাস্তাটি। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজনসহ বিভিন্ন এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ চলাচল করে এ রাস্তাটি থেকে। এই রাস্তার সাথে সংযোগ রয়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরএম কুহারদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আল মুরতাজাম জামে সমজিদ কমপ্লেক্স, বাগলেরহাট বাজার জামে মসজিদ, ফজলুল উলুম নূরানী মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
কথা হয় ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল খালেক, মো. মজিবুর রহমান খান, হাফেজ মো. শফিকুল ইসলাম, ইমাম ইসাহাক আলী খান, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, শিশু শিক্ষার্থী রবিউল হাওলাদার, মো.ইমাম হাওলাদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাস্তার বয়স প্রায় ৩৫/৪০ বছর, সরকারি বরাদ্ধে ইটসলিং করা হয়েছে তাও প্রায় ২০/২২ বছর। কিন্তু তাদের দীর্ঘদিনের সহজ চলাচলের এ রাস্তা থেকে ইট তুলে নিয়ে দেয়াল তৈরি করে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে ব্যক্তিস্বার্থে একটি মহল। প্রশাসনের কাছে ওই রাস্তার পাশের বাসিন্দাসহ স্থানীয়দের জোর দাবি তাদের চলাচলের রাস্তাটি প্রভাবশালীদের হাত থেকে উম্মুক্ত করে দেয়া হোক।
জানতে চাইলে বলইবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান আলী খান বলেন, রাস্তাটি সরকারি বরাদ্ধে নির্মিত হয়েছিলো। যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদেরকে নিশেধ করা সত্তে¡ও কর্নপাত করছে না।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।