মেহেরপুর থেকে জুরাইস ইসলাম।।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের মিতার মতামত না নিয়ে বিয়ে দেয়ায় বিয়ের পরদিনই আত্মহত্যার মতো অভিশপ্ত পথ বেছে নিয়েছে কিশোরী মিতা খাতুন(১৩)। রোববার রাতে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার পর সোমবার বিকেলে স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করে মিতা। ঘটনাটি গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে। পুলিশ মিতার লাশ ময়না তদন্ত সাপেক্ষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাজিপুর গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের ইন্নাল হোসেনের নাতি মিতা খাতুনের বিয়ে হয় রোববার রাতে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। সোমবার বিকেলে স্বামীর শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না জড়িয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে পুলিশের খবর দেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মিতার মা ও বাবার ডিভোর্স হলে তারা দু’জনে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছেন। মিতার দায়িত্ব নেয় তার নানার পরিবার। সেখাইে সে লেখাপড়া করছে। স¤প্রতি বিয়ের কথা হলে সে চরম আপত্তি জানায়। বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মিতা। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে এনে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। এসময় মিতা আত্মহননের হুমকী দেয়। এতেও কর্ণপাত করেনি তারা।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার সকালে মিতার নানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮