স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ ৫০ হাজার জ্বালানি তেল নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটির ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘সাগর বধূ-৩’ ঘটনাস্থলের কাছে এসে পৌঁছালেও ডুবন্ত জাহাজটিকে টেনে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ‘সাগর বধূ-৪’ নামে আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা নাগাদ সেটি ঘটনাস্থলে পৌঁছার কথা রয়েছে।
সাগর নন্দিনী কোম্পানির প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান জানান, ১১ লাখ ৫০ হাজার জ্বালানি তেল নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজটির ওজন প্রায় ৪শ ৪০ গুজ টন। সোমবার ভোররাতে সাগর বধূ-৩ নামে কোম্পানির একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এসেছে। সেটির ওজন প্রায় ৩ শো ৪০ গুজ টন। কোম্পানি আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছে। সেটি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিকেল হবে। এরপর জাহাজ উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কে এম শফিউল কিঞ্জল জানান, জাহাজটির নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও নদীতে ভেসে যাওয়া তেল যাতে কোন দূষণ না ছড়ায় তার জন্য কোস্টগার্ডের অত্যাধুনিক একটা বোট এর সাহায্যে লেমর মেশিন দিয়ে পানি থেকে তেল পৃথক করার কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাহাজের ভিতরের ট্যাঙ্কিতে যে তেল রয়েছে তা পদ্মা অয়েল কোম্পানী সরিয়ে নিবে।
বিআইডব্লিউটি এর যুগ্ম পরিচালক আবদুস সালাম জানান, তেল ছড়িয়ে পড়লে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে কোস্টগার্ড কাজ করছে ।
উল্লেখ, রোববার ভোররাতে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারনে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনীর’ সঙ্গে নোঙর করা আরেকটি জাহাজের সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে সাগর নন্দিনী জাহাজটির পিছনের তলা ফেটে তা পানিতে নিমজ্জিত হয়। জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ১৩ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। মেঘনার পানিতে ভেসে যায় ১০ লাখ লিটার তেল। যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকার উপরে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮