ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার, এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মরণীয় কীর্তি ও বীরত্ব গাঁথা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে বিশেষ শ্রেনি গোষ্ঠির কবল থেকে মুক্ত করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, জনগণের সম্পদে পরিণত করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নগরীর সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন এসব কথা বলেন।খবর তথ্য বিবরণী।বিভাগীয় কমিশনা বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বৈষম্য ও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে। সর্বস্তরের জনসাধারণ সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সবার স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ বিনির্মাণ করা। কাক্সিক্ষত সে স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারিনি বলেই আমাদের মুক্তির পথে অনেক বাধা এসেছে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় আবারও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই ২০২৪ শে জুলাই অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। অভ্যুত্থানকে সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এর সভাপতিত্বে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ. এন এম ওয়াসিম ফিরোজ, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোঃ নোমান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক বক্তৃতা করেন। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বদিউর রহমান জাদিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে দিবসটি উপলক্ষ্যে সার্কিট হাউজ চত্বরে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮