শওকত আলম - সংবাদকর্মী ও লেখক:
আজ চারদিকে শুধু হাহাকার! খুন, গুম, সন্ত্রাস, ছিনতাই, রাহাজানি—এ যেন প্রতিদিনের খবর। উচ্ছেদের নামে নিরীহ মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, জমি-জায়গা হারাচ্ছে অসহায় পরিবার। এদেশ কি এভাবেই চলবে?
দেশের মানুষ আজ শান্তিতে নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এক অজানা আতঙ্কে কাটছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত। ঘর থেকে বের হলে ফেরার নিশ্চয়তা নেই। ব্যবসা করলে টিকে থাকার গ্যারান্টি নেই। সন্তানকে স্কুলে পাঠালে ফিরে আসবে কিনা তার কোনো ভরসা নেই। এই ভয়ের নাম কি স্বাধীনতা? এই অনিশ্চয়তার নাম কি মানবাধিকার?
আর বিচার? বিচার আজ এক প্রহসনে পরিণত হয়েছে। আইন যেন কেবল দুর্বল আর গরিবের জন্য। ক্ষমতাবানরা দিব্যি অন্যায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ নিরীহ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে অন্যায়ের। ন্যায়বিচার যেখানে নেই, সেখানে মানবাধিকারের কথা কেবল কাগজে-কলমে লেখা এক নিছক বুলি ছাড়া আর কিছু নয়।
মানবাধিকারের মূল কথা হলো—
ন্যায়বিচার সবার জন্য সমান হবে।
দুর্বল ও অসহায় মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
রাষ্ট্র হবে মানুষের মর্যাদার রক্ষক।
কিন্তু আজ বাস্তবতা হলো, মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আজ কেবল ক্ষমতাবানদের জন্য। দুর্বল মানুষ আজ প্রতিনিয়ত অন্যায়ের শিকার হচ্ছে।
আমাদের জিজ্ঞাসা—
আর কত?
মানুষের জীবনের মূল্য কি নেই?
নিরাপত্তা কি শুধু কাগজে-কলমে থাকবে?
রাষ্ট্র কি কেবল ভয় দেখানোর জন্য?
ভাই ও বোনেরা, সময় এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। সময় এসেছে জুলুম, খুন-গুম আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলবার। সময় এসেছে মানবাধিকারের নামে এই প্রহসনকে প্রশ্ন করার।
আমরা চাই—
মানুষ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে।
সন্তান যেন নিরাপদে বড় হতে পারে।
দুর্বল মানুষের জীবনের মূল্য যেন আর অন্যায়ের বলি না হয়।
বিচার যেন সবার জন্য সমান হয়।
জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। যখন সাধারণ মানুষ জেগে উঠবে, তখন কোনো সন্ত্রাস, কোনো ক্ষমতার প্রহসন—কিছুই আর টিকতে পারবে না।
আমরা বিশ্বাস করি—মানুষের মর্যাদা রক্ষাই রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮