স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
ভোলা থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্য যাওয়া লঞ্চ এমভি তাসরিফ ২ ও এমভি ফারহান ৫ চাঁদপুরের মাঝ নদীতে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে ভেঙে গেছে ফারহান লঞ্চের পিছনের একাংশ, দুই লঞ্চের শিশুসহ আহত ৫ জনের এখন পর্যন্ত খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায় ১৩ই ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভোলা থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহি লঞ্চ তাসরিফ-২ কে পিছন থেকে প্রচণ্ড গতি নিয়ে ধাক্কা দিয়েছে ফারহান-৫ নামে আরেকটি যাত্রীবাহি লঞ্চ। ওই দুইটি লঞ্চই ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় উভয় লঞ্চের ৫ যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুরের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে সংঘর্ষের পুরো দৃশ্যটি দেখা যায়।
তাসরিফ-২ লঞ্চের যাত্রী সুমন ও আরিফ জানান, বেপরোয়া গতি নিয়ে ফারহান-৫ লঞ্চ নিজের ইচ্ছেতেই তাসরিফ লঞ্চটিকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় তাসরিফ লঞ্চের পিছনের একাংশ ভেঙে যায়। এসময় সুরমা (৮) নামে এক শিশুসহ ওই লঞ্চের ৩ জন যাত্রী আহত হয়। সংঘর্ষে লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করতে শুরু করেন। বিকট শব্দে শিশুরা ঘুম থেকে চমকিয়ে উঠে।
ফারহান-৫ লঞ্চের যাত্রী রাকিব হোসেন শাহীন জানান, ফারহান লঞ্চটি বেপরোয়া গতি নিয়ে তাসরিফ লঞ্চটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা কান্নাকাটি করতে শুরু করেন। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা লঞ্চের স্টাফদের উপর চওড়া হয়। লঞ্চের দুই নারী যাত্রী আহত হয়।
তাসরিফ-২ লঞ্চের সহকারী ইনচার্জ মোবারক করিম জানান, ফারহান লঞ্চ খামখেয়ালি করেই তাদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত লঞ্চ ফারহান-৫ এর মাষ্টারসহ কয়েকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।