স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ৭নং ওয়ার্ডে পূর্ব শক্রতার জের ধরে আপন চাচাতো ভাইয়েরা ভাড়াটিয়া বাহিনী এনে মুখোশ পড়ে হামলা ও খেড়ের ঘরে আগুণ দেয়া ও ৪জন কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মঞ্জু, হারুন, ইব্রাহীম ও হামিদুলসহ ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে আহত সামছুদ্দিন, সাকিল, রেশমা ও সাথী বেগম ভোলা সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যেসামছুদ্দিনের অবস্থা গুরুতর।
গতকাল রাতে সামছুদ্দিনের বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী ও চাচাতো ভাই মঞ্জু, হারুন, ইব্রাহীমগংদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে সামছুদ্দিনের সাথে। এর ধারাবাহিকতায় সামছুদ্দিন গতকাল পূর্ব ইলিশা পরিষদে একটি দরখাস্ত করেন।
ওই দরখাস্তের আলোকে পরিষদ থেকে একটি নোটিশ আসে মঞ্জু হারুনদের বাসায়।
পরিষদের নোটিশ আশার পরেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে মঞ্জুগংরা। পরিকল্পনা করেন সামছুদ্দিনের উপর হামলা করবেন। ওই পরিকল্পনা অনুযারী গতকাল রাতে প্রথমে সামছুদ্দিনের ঘরের সাথে খেড়ের ঘরে আগুণ দিতে পারে মঞ্জু গংরা
বলে অনেকে ধারণা করছে । আগুণ নিভাতে ব্যর্থ হয়ে সামছুদ্দিন ফায়ারসার্ভিস কে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন । ফায়ারসার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করে যাওয়ার পর আবারো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে মঞ্জুরা বলে জানায় স্থানীয়রা। আগুন দেখে ঘর থেকে সামছুদ্দিন বের হলেই তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাথারি পিটিয়ে দুই হাত, দুই পা জখম করে। সামছুদ্দিন কে বাঁচাতে তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে বের হলে তাদের ও পিটিয়ে জখম করে এবং হাত ভেঙ্গে দেয় । এর পর ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে মুমূর্ষু অবস্থায় এম্বুলেন্সে করে আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহতদের মধ্যে সামছুদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মঞ্জু হারুনদের বাড়ীতে গিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে আমাদের চেয়ারম্যানসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং হাসপাতাল গিয়ে সামছুদ্দিন কে দেখে এসেছি তবে তার অবস্থা গুরুতর।
ভোলা সদর মডেল থানার এস আই শাহাবুল বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮