যশোর।।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৪৫ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী গুরুত্বপুর্ণ এ জেলায় দিয়ে মোংলা নৌবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের অধিকাংশ মালামাল উত্তরবঙ্গ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আনা-নেওয়া করা হয়। গুরুত্বপুর্ণ এ সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর, বারোবাজার, কেয়াবাগান, কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড, নিমতলা বাসস্ট্যান্ড. দোকানঘর, সদর উপজেলার বিষয়খালী, চুটলিয়া মোড়, লাউদিয়া, আরাপপুর, মুজিবচত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের। ফলে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই যানজটসহ ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এসব স্থানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন, ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে সব ধরনের মানুষের। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে খানা-খন্দে কিছু ইট বালি দিয়ে মেরামত করলেও কয়েকদিন পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
রুপসা (জামিলা-ছোয়া) পরিবহনের বাস চালক মানিক বলেন, ‘রাস্তা খুব খারাপ। রাস্তায় গাড়ি চালানে খুব কষ্ট। কুষ্টিয়াততে একদম বারোবাজার পর্যন্ত সব যাইগা ভাঙ্গা। আসলে ভাই রাস্তা যেরকম করে ভাঙ্গেছে তাতে গাড়ী চালানো খুব কষ্ট। ভাঙ্গার কারণে অনেক সময় গাড়ী ভাঙ্গে চুরে পড়ে থাকে। যেই কারণে রাস্তায় জ্যাম লেগেই থাকে। খুব সমস্যা গাড়ি চালানো। দ্রুত এই রাস্তা ঠিক করুক। নইলে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ-যশোর সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রনালয়ে কাজপত্র পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সংস্কারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহবান করে দ্রুত সংস্কার কাজ করা হবে। সড়ক সংস্কারের সময় যেন সঠিক ভাবে করা হয় এজন্য কঠোর নজরদারি রাখা হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮