লালমনিরহাটে অবস্থিত দেশের বিভিন্ন বৃহত্তম স্থলবন্দর-বুড়িমারী স্থলবন্দরে- ট্রাক ট্রাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান থেকে চাঁদাবাজি করে একটি চক্র। এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক-ডিসি-বরাবরে লেখা স্মারকলিপি পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার -ইউএনও-জিল্লুর রহমানের কাছে পেশ করেছেন ট্রাক মালিকদের একটি দল।
বৃহস্পতিবার -৮ মে- দুপুরের দিকে তারা স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, জেলা ট্রাক, ট্রাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-সমিতির নামে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসা গাড়ি থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হয়। অপরাগতা প্রকাশ করলে চালক কিংবা মালিকদের আটকে রেখে নির্যাতনও করা হয়। বন্দরের প্রতিটি গাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে এই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। তারা প্রকাশ্য চাঁদা নেওয়ায় বিষয়টি প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাই জানেন।
মালিকরা জানান, এই ব্যানারে ট্রাক প্রতি ৩০ টাকার রসিদ প্রদান করে অনৈতিকভাবে ১৫০ টাকা চাঁদা করা হয়। এছাড়াও গত ৫ মে সন্ধ্যায় চাঁদা না দেয়ায় ট্রাক মালিক আব্দুস সালেককে আটক রাখা হয়। খবরটি জানতে পেরে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও তাকে উদ্ধার করে। এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রায়ই ঘটেছে। বিগত সময়ে এই চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মতো ঘটনায় ইউএনওসহ দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ দিনভর অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। এতকিছুর পরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এই চাঁদাবাজি থেকে নিস্তার চান তারা।
সমিতির নাম করে ৩০ টাকার রশিদের বিপরীতে ১৫০ টাকার চাঁদা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ট্রাক মালিকদের একাংশ।
আব্দুস সালেক নামে এক ট্রাক মালিক বলেন, “আমরা কোন চাঁদা দিতে চাই না। তবে সংগঠনের বৈধ কাগজ দেখালে সংগঠনকে নির্দিষ্ট ফি দিতে পারি কিন্তু চাঁদা না ।”
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার -ইউএনও-জিল্লুর রহমান বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। এটা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চাঁদা নেয়া বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছি। যদি বন্ধ না করে সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮