তৌহিদ বেলাল।।
বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এশিয়ার বৃহত্তম দানব ভাস্কর্য! প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি হয়েছে মনুষ্য আকৃতির ভাস্কর্যটি বানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ক'জন শিক্ষার্থী। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এটি নির্মাণে সহযোগিতা করে।
সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে এই দানব ভাস্কর্য। সমুদ্রে প্লাস্টিকের দূষণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে দানব ভাস্কর্যটি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দানব ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মানস পালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আকরাম হোসেন বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) চৌধুরী মিজানু্জ্জামান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সংস্থা জানায়, প্রায় ৪২ ফুট উচ্চতার দানব ভাস্কর্যটি সৈকতের প্রায় ৮ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে বানানো হয়েছে। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে সাত দিন। আর প্রদর্শনীও চলবে সাত দিন। প্রদর্শনী শেষে ভাস্কর্যের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা হবে।
আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি ৪২ ফুট উঁচুর এমন দানব ভাস্কর্য এশিয়ার কোথাও তৈরি হয়নি। তারা জানান, সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকেরা পানির বোতল, পানীয়ের ক্যান, চিপসের প্যাকেট, পলিথিন ইত্যাদি সমুদ্রের বালিয়াড়িতে ছুঁড়ে ফেলেন। সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে এইসব প্লাস্টিক বর্জ্য পানিতে তলিয়ে যায়। পরে এসব বর্জ্য খেয়ে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী মারা যায়। আর ধ্বংস হয় পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮