জুরাইস ইসলাম,
মেহেরপুর প্রতিনিধি ।।
শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরষ্কার-২০২১ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন মেহেপুরের গাংনীর কৃতি সন্তান কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। অমর একুশে বইমেলা -২০২২ এর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী এই পুরষ্কার প্রদান করবেন।
বাংলা সাহিত্যের অনেকটা নবীন শাখা শিশু সাহিত্যে তার শক্তিশালী উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। মুক্তিযুদ্ধের কিশোরগল্প, ছেলেবেলার গল্প, ইচ্ছে পুতুল, যুদ্ধ দিনের ছড়া, ইভানের বিয়ে ইত্যাদি শিশুতোষ বই লিখে বাংলা সাহিত্যের এই অঙ্গনকে করেছেন সমৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে, একটি অসা¤প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনষ্ক প্রজন্ম গড়তে তার এই সকল শিশুতোষ বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শতাধিক গ্রস্থ রচিত হয়েছে তার মধ্যে ৫০টি শিশুদের নিয়ে।
যতদুর জানা যায়, ১৯৫৭ সালের ২৭ সেপ্টম্বর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রফিকুর রশীদ। বাবা গোলাম রসুল ও মা রওশন আরা বেগম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে গাংনী সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত।
রফিকুর রশীদ বলেন, ছোটবেরা থেকেই গল্প ও উপন্যাসের উপর আমার ঝোঁক ছিলো। মা রওশন আরার বই পড়ার শখ ছিল। তার বইগুলো যোগাড় করার সময় থেকেই লেখালেখির ইচ্ছা জাগে তার। এস.এস.সি পাশ করার পর বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখতেন তিনি। আর এর উৎসাহ যোগাতেন তৎকালীন মেহেরপুর সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আনছারুল হক স্যার। সেই উৎসাহ না পেলে হয়তো আমি কখনই লেখক হতে পারতেন না বলেও জানান এই সাহিত্যিক। কলেজে যাবার পর কবিতার পাশাপাশি লিখতে থাকি গল্প ও উপন্যাস। ধীরে ধীরে লেখার জগতে জড়িয়ে পড়ি।
তিনি আরোও বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখে অনুপ্রাণিত হন মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখার। নিজ এলাকা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন। বিশেষ করে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাগুলো লেখার মধ্যে স্থান পায় বেশি। এছাড়ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের গঠনের ইতিহাসও ছিলো অন্যতম।
শিশু সাহিত্য পুরষ্কারের বিষয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে সবচাইতে কঠিন কাজ শিশুদের উপযোগী করে বই লেখা। কারণ শিশুরা এখন মুঠোফোন বেশি আসক্ত। সেখানে ভিডিও গেমস থেকে শুরু করে বিনোদনের সব ধরনের উপকরণ পায় শিশুরা। এখন আমাকে চেষ্টা করতে হবে তার উপযোগী করে বই লেখার। তবে অব্যহত থাকবে উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখা।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮