
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রেমাশিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ভূমি অধিগ্রহণ না করে সরকারি খাস জমি বাদ দিয়ে স্থানীয় লোকজনের খতিয়ান ভুক্ত জমির উপর জোর পুর্বক বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বোর্ডের নিয়োগকৃত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় শামশুর রহমান নামের এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডর প্রকল্প পরিচালক গোলাম কাদেরকে অভিযুক্ত করে জানান স্থানীয়রা
পানি উন্নয়ন বোর্ডরে অধিগ্রহণকৃত জায়গাগুলোর মালিক আর.এস খতিয়ান মূলে পূর্ববর্তী ওয়ারিশগণের নিকট হইতে মালিকানা স্বত্ব অর্জন করে বিভিন্ন সূত্রে মালিক হন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন প্রেমাশিয়া মৌজায় বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। উক্ত বেড়ীবাঁধ নির্মাণ কাজ সরকারী খাস জায়গায় হওয়ার কথা থাকিলেও উক্ত প্রকল্পের নির্মাণ কাজে ব্যক্তি মালিকানাধীন নাল জমি কোন রকম সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সরকার যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে কোন প্রকল্প অনুমোদন করিলে আইন সংগত ভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করে ভূমির মালিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করে এবং প্রকল্পের একটি নকশা সাইনবোর্ড আকারে প্রকল্পাধীন এলাকার যেকোন জায়গা স্থাপন করে। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ প্রকল্পটি কোন কোন খতিয়ানের কোন কোন দাগের উপর দিয়া যাইবে সেই সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা অর্জন করে। কিন্তু প্রেমাশিয়া মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিতব্য বেড়ীবাঁধের জন্য কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা অধিগ্রহণ করা হয় নাই এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদেরও কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ সরকারের তরফ থেকে প্রদান করা হয় নাই। সরকারী নিয়ম নীতি যথাযথ অনুসরণ না করে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আমাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির উপর দিয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চালাইয়া নেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে।
এতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ এই বিষয়ে প্রতিবাদ করিলে প্রকল্প পরিচালকের কাছ থেকে কোন প্রকার সদুত্তর পাই নাই এবং প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্পের কোন নকসা আমাদের দেখাইতে পারে নাই। এছাড়াও প্রকল্প পরিচালক ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি কোন সরকারী আদেশের অনুবলে অধিগ্রহণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এর কোন কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট উপস্থাপন করিতে পারেন নাই। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সরকারী খাস জায়গা থাকা সত্বেও কেন ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির উপর ভূমি অধিগ্রহণ ব্যতীত কাজ চালানোর চেষ্টা প্রকল্প পরিচালক করিতেছেন সেই বিষয়ে কোন প্রকার অনুমোদন ও সরকারী নির্দেশনা রয়েছে ভূমি মালিকেরা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।
ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের পক্ষে শামসুর রহমান, আবুল কালাম, আবদু ছত্তার, মোহীত আব্দুল হাকিমসহ কয়েক শতাধিক ভূমির মালিক।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী শামসুর রহমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করুক আমাদের কোন আপত্তি নেই অভিযোগ নেই, তারা সরকারি খাস জায়গা বাদ দিয়ে কৃষকের ব্যক্তি মালিকানাধিন জায়গায় কোন কারণ ছাড়াই নোটিশ ছাড়াই জোর পুর্বক দখল করে নষ্ঠ করতেছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর দিতে পারেনি কোন কাগজ পত্র ও দেখাতে পারেনি।
এই বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামশেদুল আলমের কাছে জানতে চায়লে তিনি জানান এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮