স্টাফ রিপোর্টার,
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার দুর্গম চর-হরিরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শালেপুর
গ্রামের তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধু (২৯) কে গভীর রাতে ঘরের দরজার শিকল ভেঙে ঢুকে প্রতিবেশী এক লম্পট ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ধর্ষক একই গ্রামের আব্দুল হাই খান নামক হাটের পাশে আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে জুয়েল মোল্যা (৩০)। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জুলাই রাত ২.৩০ ঘটিকার। নির্যাতিত গৃহবধু গত ২৮ জুলাই চরভদ্রাসন থানায় অভিযোগ করার পর ওই দিন বিকেলেই
পুলিশের ফরিদপুর সদর সার্কেল আজমীর হোসেন এর দিক নির্দেশনায় ধর্ষকের বাড়ীতে এস.আই ওয়াছেক মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
"এ ব্যপারে নির্যাতিত গৃহবধু বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি ধর্ষন মামলা করেছে।
মামলা নং-০৯, তারিখ ২৯/৭/২০২৫খ্রি.। মঙ্গলবার বিকেলে এ মামলার তদন্ত অফিসার চরভদ্রাসন থানার "এস.আই ওয়াছেক মিয়া জানান,“ নির্যাতিত গৃহবধু ধর্ষনের অভিযোগ করা মাত্রই আমরা দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছি এবং আসামী ধর্ষনের কথা স্বিকার করেছে বিধায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করেছি”।
নির্যাতিত গৃহবধু মঙ্গলবার থানায় দাড়িয়ে জানায়, তার স্বামী বেশ কিছুদিন ধরে একটি মামলায় জড়িয়ে ফরিদপুর কারাগারে হাজতবাস রয়েছেন। তাই পুরুষ শূন্য বাড়ীতে ঘটনার রাতে গৃহবধু তার শিশু সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে ঘুমিয়ে পড়ছিল। ওই রাত ২.৩০ এর দিকে প্রতিবেশী লম্পট জুয়েল মোল্যা টিনের ঘরের দরজার শিকল ভেঙে ঢুকে গৃহবধুর মুখ আটকে ধরে। পরে শিশু সন্তানদের সহ তাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে জুয়েল মেল্যা গৃহবধুর জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। ধর্ষনের পর এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ধর্ষক হুমকী দিয়ে যায়।
তিন সন্তানের জননী, গৃহবধু আরও জানায়, পরের দিন সকালে এলাকার মুরুব্বীদের কাছে এ ঘটনা বললে তারা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে নাই। ফলে গত ২৭ জুলাই ফরিদপুর কারাগারে আমার হাজতবাস স্বামীর সাথে দেখা করে তাকে ধর্ষনের ঘটনা জানাই। আমার স্বামীর পরামর্শ মোতাবেক ২৮ জুলাই চরভদ্রাসন থানায় এসে ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮