আমিরুল হক,
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।
নীলফামারীর সদর উপজেলার ঢেলাপীরে বাংলাদেশ অর্থ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ’র (বেজা) জায়গা অবৈধভাবে দখল করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে ছোট হয়ে আসছে জেলার ঐতিহ্যবাহী ঢেলাপীর হাট। ইতিমধ্যে সেখানে অর্ধশতাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা যায়, নীলফামারীর সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের সূবর্ণখূলী মৌজার ২৮.২৪ একর ও কাদিখোল মৌজার ৭৭.৮২ একর, মোট ১০৬ একর খাস জমি গত ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ দীর্ঘমেয়াদী লীজ দলিলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কে দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে নীলফামারী জেলা প্রশাসক এই দলিল সম্পাদন করে দেন। জেলার ঐতিহ্যবাহী ঢেলাপীর হাটের সাথে লাগানো বেজা’র জমি। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ঢেলাপীর হাটের জমি অধিগ্রহণ করে হাটের পরিধিও বৃদ্ধি করা হয়। পরে ধীরে ধীরে হাটের জায়গা ও লীজকৃত বেজার জমিতে একাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাঠ নির্মান করে চলেছেন কতিপয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট।
জানতে চাইলে অর্থনৈতিক জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাশেম বলেন, এটি সরাকারের উন্নয়ন প্রকল্পের জায়গা। এই জমি দখলের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
ঢেলাপীর হাটের ইজারাদার মোতালেব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জমি দখলের বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করে কোন ফল পায়নি। অজ্ঞাত কারণে তাঁরা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। ঐতিহ্যবাহী এই ঢেলাপীর হাটের সরকারি জমি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে মানুষ অবৈধভাবে বিভিন্ন পাকা স্থাপনা ঘরবাড়ী তৈরি করেছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, অর্থনৈতিক জোনের হস্থান্তরকৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার কথা আমরা বেজা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর সরকারি হাটের সম্পত্তি কেউ দখল করতে পারে না। শিগগিরই আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮