
অর্ণব শরীফ, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি)-এর নেতাকর্মীদের সমন্বয়সভা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সভায় তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড, জুলাই সনদ, সংস্কার প্রক্রিয়া ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিসর্বস্ব স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত আমরা দেখেছি। আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের কোনো নীতিমালা নেই। তারা কোন নীতিমালার আওতায় ‘শাপলাকলি’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করল, তা স্পষ্ট করেনি। আবার কেন শাপলা প্রতীক বাদ দিয়েছে, সেটারও কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যাখ্যাবিহীন রাষ্ট্র আমরা ৫ আগস্টের আগে দেখেছি, যখন জবাবদিহিহীনভাবে দেশ চালানো হতো। এখন নির্বাচন কমিশনও যদি একইভাবে ব্যাখ্যাহীন সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ইসলামি দল কি-না, তা আমি জানি না। আমি ইসলামি বা অ-ইসলামি বলে দলকে ভাগ করার পক্ষে নই।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। কেউ সংস্কারের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে—এটাই এখনকার বাস্তবতা।”
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার আগে সেটি দেখতে হবে। আমরা না দেখে স্বাক্ষর করিনি, এজন্য আমাদের দোষারোপ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তারাই সেই অবস্থানে আছে। বাস্তবে সংস্কার প্রক্রিয়ায় স্পষ্টতা দরকার—গণভোট কিংবা গণপরিষদের মাধ্যমে এই সনদ বাস্তবায়নের দিকেই যাওয়া উচিত।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বিভাগীয় যুগ্ম সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
সভায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম, সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা এনসিপি—আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। বরং নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারীভাবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। আইনগতভাবে তাদের এসব সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

























