মোঃ আব্দুল হান্নান
নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
জেলার নাসিরনগর উপজেলার আশুরাইল গ্রামে প্রতি পক্ষের আঘাতে তাউজ মিয়া ৬০ নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। অনুফা বেগম,লেদু মিয়া ও জালু মিয়া নামের আরো ৩ জন মারাত্বক আহত অবস্থায় অনুফা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। লেদু মিয়ার মাথায় অপারেশন করা হয়েছে। মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে ২ আগষ্ট ২০২১ বেলা অনুমান সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামে। মামলা সূত্রে জানা গেছে আশুরাইল গ্রামের পশ্চিমপাড়ের নজরুল মিয়ার গরু আয়াতউল্লা বাড়ির তাউজ মিয়ার জমির ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে ঘটনার আগের দিন আশুরাইল পশ্চিম পাড়ার নজরুল মিয়ার দুইটি গরু আয়াতউল্ল্যা বাড়ির নিহত ফিরোজ মিয়ার ছেলে তাউজ মিয়ার জমির ধান খেয়ে ফেলে এই নিয়ে তাউজ মিয়া বাধা দিলে প্রতি পক্ষের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় নজরুল মিয়ার লোকজন মিলে বাড়ীতে উঠে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নিহত তাউছ মিয়াকে বেধম মারপিট করে। নজরুল মিয়ার লোজজনের মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় তাউজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ২৬ আগষ্ট বিকেলে তাউজ মিয়া মৃত্যু বরণ করেন। ওই ঘটনায় ২৩ আগষ্ট ২০২১ তারিখে মৃত্যু লোদন মিয়ার ছেলে হিরাজ মিয়া বাদী হয়ে গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (৫২), বাছির মিয়ার ছেলে নজরুল মিয়া (২৭), হিরন মিয়া (২৩) মজুল মিয়ার ছেলে সামছু মিয়া (৩৫), অনু মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (৩০), বাঘা মিয়ার ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া (২৪), শুক্কুর মিয়ার ছেলে মোঃ আক্তার মিয়া (৪৫), গফুর মিয়া (৪০), রুকন উদ্দিন (৩৫), অনু মিয়া ছেলে সুহেল মিয়া (২৭), জ্ঞান মিয়ার ছেলে জামাল (২৮), তাউজ মিয়ার ছেলে হাফিজ মিয়া (৩৬) সহিদ মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (২০), তাজু মিয়ার ছেলে আছকির মিয়া (৪০), ফরিদ মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া (৩৮) কে আসামী করে নাসিরনগর থানার মামলা নং ১৬/১৫১ দায়ের করে। ওই মামলায় ১নং আসামী ফরিদ মিয়াকে পুলিশ ধরে আদালতে প্রেরণ করে। গতকাল ফরিদ মিয়া আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮