
চঞ্চল,
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালকে ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এর জনবল কাঠামো রয়ে গেছে আগের মতো। কাগজে-কলমে এটি জেলার প্রধান হাসপাতাল, কিন্তু বাস্তবে এটি তীব্র চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে ধুঁকছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকের ৪১টি পদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, অর্থাৎ ২৩টি পদই বর্তমানে শূন্য।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, নাক-কান-গলা, চক্ষু, প্যাথলজি, চর্মরোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি। ১৮টি মেডিকেল অফিসারের পদের মধ্যে ১১টিতেই কোনো চিকিৎসক নেই। ৬৬ জন নার্সের মধ্যে ৯ জন অন্যত্র প্রেষণে কর্মরত এবং ৬টি মিডওয়াইফ পদের সবগুলোই শূন্য। এমনকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংখ্যা মাত্র তিনজন, যা ২৫০ শয্যার একটি হাসপাতালের জন্য অকল্পনীয়।
এই জনবলহীনতার সরাসরি প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যসেবার ওপর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চলছে সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়ে। প্রতিদিন শত শত রোগী দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেও সময়মতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সিসিইউ, কিডনি ডায়ালাইসিসের মতো আধুনিক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জনবলের অভাবে ২০ লাখ মানুষ তাদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেম জানান, জনবল সংকটের বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান মেলেনি। ফলে সীমিত সামর্থ্য নিয়েই চলছে জেলার প্রধান এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম।