প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২১, ২০২৫, ৫:১৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ৮:২৫ পি.এম
নলছিটিতে জমি বি’রোধে শি’ক্ষিকাকে মা’রধ’র, মা’মলা করার পর পরিবারকে হ’ত্যার হু’মকি

মো. নাঈম হাসান ঈমন,
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুসঙ্গল ইউনিয়নের ভাউমহল গ্রামে জমি-সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে এক নারী শিক্ষিকাসহ একই পরিবারের তিনজনকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত শিক্ষিকার স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে পরিবারটি হত্যার হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মো. আলমগীর সিকদার তার বসতবাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। পূর্ব বিরোধের জেরে একই এলাকার আশিকুল রহমান সৌরভ, হাবিবা বেগম ও নূর ইসলামসহ কয়েকজন লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় চিৎকার শুনে স্ত্রী কহিনূর বেগম ও মেয়ে ফাতেমা জাহান এগিয়ে গেলে তাদেরও বেদম মারধর করা হয়। শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং কন্যার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।
গুরুতর আহত কহিনূর বেগম নলছিটি উপজেলার মানপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আহতরা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন। তবে মামলা করার পর থেকে আসামিরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাদী আলমগীর সিকদার।
তিনি বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিরা খুন-গুমের হুমকি দিচ্ছে। পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি।’
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা কহিনূর বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী বাড়ির সামনে কুটা-কুড় ফেলছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন এসে তাকে মারধর করতে থাকে। আমি আর মেয়ে ফাতেমা জাহান বাঁচাতে গেলে আমাদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। আমার নাকের হাড় ভেঙে গেছে, চোখে রক্ত জমেছে। এমনকি গায়ের পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্যাপশন: আহত শিক্ষিকা কহিনূর বেগম ও মামলার কপি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২