অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্ট রির্পোটার
নরসিংদীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে।
বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আরাধনায় শিক্ষার্থী, শিল্পী ও জ্ঞানপিপাসুদের কাছে সরস্বতী পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সরস্বতী দেবী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী হিসেবে পরিচিত। দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীনা।
রবিবার দুপুর ১২ টা ৪৩ মিনিটে শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হয়েছে সোমবার সকাল ১০ টা ২৭ মিনিটে পঞ্চমী তিথি শেষ হয় । এ বছর তিথি অনুযায়ী রবিবার ও সোমবার সরস্বতী পূজা করা হয়েছে ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী পূজার দিনে জ্ঞান, শিক্ষা, কলা, সংগীতের প্রতীক মনে করে। সরস্বতী পূজার দিন হিন্দু শিক্ষার্থীরা বিশেষ ভাবে মায়ের আর্শীবাদ কামনা করে। সরস্বতী পূজা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নরসিংদী সরকারি কলেজ, পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজ, মাধবদী সতী প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালী কুমার স্কুল এন্ড কলেজ, পলাশ থানা সদর উচ্চ বিদ্যালয় সহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মন্দির ও বাড়িতে বাড়িতে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে।
পূজামন্ডপে সরস্বতী দেবীর বন্দনায় ঢাক- ঢোল – কাঁসর, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে ।
হিন্দু পুরান মতে, সরস্বতী পূজার দিনে ব্রক্ষা সৃষ্টির কাজ শুরু করেছিলেন। সরস্বতী পূজা ঐতিহ্য অত্যন্ত প্রাচীন। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের জন্য সরস্বতী মায়ের আর্শীবাদ কামনা করতো। জ্ঞান ও বিদ্যার আলোকে আলোকিত হোক জীবন, সমৃদ্ধ হোক দেশ ও সমাজ।