মামুন মিঞা, ফরিদপুর:
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের স্ত্রীর বিষ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৯/৯/২০২৫ ইং তারিখে স্বামী মোঃ মান্নান@মুন্নু প্রামাণিক(৪৫) ও স্ত্রী মোসাঃ সোমা বেগম(৩৮) এর মধ্যে নিজ বসতঃঘরে সকাল থেকেই কোনো বিষয় কথা কাটাকাটি হয়। যার ধারাবাহিকতায় আনুমানিক বিকাল ৩(তিন)টার দিকে বিষ পান করে,আশপাশের লোকজন ঠিক পেয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০/৯/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ৯.৩০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো,একাধিক বার স্হানীয় ভাবে সালিশ দরবার ও হয়েছে।আজ হয়তো সহ্য করতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
সোমা বেগম এর বাবা মোঃ কুদ্দুস শেখ (৫৮) পিতা-মৃত নহর উদ্দিন শেখ সাং-চক নাওডুবি, ইউপি ফুলসুতি, থানা- নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর বলেন,
"আমার মেয়ে মোছাঃ সোমা বেগম(৩৮) গত প্রায় ২১ বছর আগে মোঃ মান্নান ও মুন্নু প্রামানিক (৪৫) পিতা-মৃত অহির উদ্দিন প্রামানিক সাং-লস্করপুর, থানা-নগরকান্দা জেলা-ফরিদপুর এর সহিত ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কাবিন মূলে বিবাহ দেই। আমার মেয়ে সোমা বেগমকে বিবাহের পর মুন্নুর সহিত ঘর সংসার করা কালে আমার মেয়ে গর্তে ঔরসে একটি কন্যা এবং একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। আমার মেয়ে সোমা বেগম মুন্নুর সহিত বিয়ের পর কয়েক বছর ভাল ভাবে ঘর সংসার করিলেও মুন্নু ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় পরস্পর যোগ সাজসে আমার মেয়েকে আমার বাড়ী হইতে যৌতুক বাবদ ২,০০০০০/- (দুইলক্ষ) টাকা আনিয়া দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করিয়া কারণে অকারনে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ মানষিক ভাবে নিয়মিত চাপ দিতে থাকে। আমার মেয়ে তাহার সন্তানদের মুখের দিকে তাকাইয়া মুন্নুর মানষিক নির্যাতন সহ্য করিয়া ঘর সংসার করিতে থাকে। আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে এবং আমার পরিবার বর্গের সদস্যদের জানাইলে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মাধ্যমে মুন্নুর বাড়ীতে গিয়া আপোষ মিমাংশা করিয়া দিলেও মান্নান @ মুন্নু প্রামানিক।
আমার মেয়ে সোমা বেগম ইং ২৯/০৯/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় অত্র থানাধীন লস্করপুর সাকিনে মান্নান @ মুন্নু প্রামানিক বাড়ীতে অবস্থান কালে আসামী মান্নান মুন্নু প্রামানিক সহ অন্যান্যরা আমার মেয়ের নিকট পূনরায় যৌতুক বাবদ নগদ ২,০০০০০/- (দুইলক্ষ) টাকা দাবী করে। আমার মেয়ে তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে মান্নান@ মুন্নু প্রামানিক সহ আমার মেয়েকে পূর্বের ন্যায় গালি গালাজ সহ কুরুচি পূর্ন কথা বার্তা বলিয়া গাল মন্দ করে। আমার মেয়ে মানষিক ভাবে অসুস্থ্য হইয়া পড়িলে আসামী মান্নান@ মুন্নু প্রামানিক ও অন্যান্যরা আমার মেয়েকে বলে যে, লজ্জা থাকলে বিষ খেয়ে অথবা গলায় রশি দিয়ে মরতে পারিস না। আমার মেয়ে তাদের এই সব কথা শুনে লাজ লজ্জায় অপমানিত হইয়া সহ্য করিতে না পারিয়া এবং কোন উপায় অস্ত্র না পাইয়া ঘরে থাকা ঘাস মারা কিটনাশক ঔষধ পান করিয়া গুরুতর অসুস্থ্য হইয়া পড়ে।মুন্নুর পরিবার আমাকে এবং আমার পরিবার বর্গের সদস্যদের কাউকে কিছু না বলিয়া দ্রুত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করিয়া পালাইয়া যায়। আমি এবং আমার পরিবার বর্গের সদস্যারা সংবাদ পাইয়া দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়া আমার মেয়েকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। আমার মেয়ে সোমা বেগম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইং ৩০/০৯/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় মারা যায় অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন"।
এ বিষয় মান্নান@ মুন্নু প্রামাণিক কথা বলতে গেলে,তিনি বাড়িতে না থাকায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব না।
এ বিষয় নগরকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮