মনির হোসেন,বরিশাল ব্যুরো ।। ( ফলোআপ )
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার সানুহার নামক এলাকায় গাছের সাথে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহি পরিবহন দুমড়ে মুচড়ে ১০ জন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় বাস চালক আরিফ খানকে আসামি করা হয়েছে। আরিফ বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় বাসিন্দা। অপরদিকে দূর্ঘটনাকবলিত বাসের মালিক ফারুক আহমেদ ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর থেকে বাস চালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।
সোমবার সকালে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ওসি আলী আর্শাদ বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মোঃ মাহবুব।
তবে মামলার ভবিষ্যত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন বরিশালের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা। তাদের দাবি, এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীর বড় অভাব থাকে। যেসব যাত্রীরা আজ আহত হয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষী দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তারপরেও সরকারের স্বদইচ্ছায় এ মামলাটি অনুকরনীয় হয়ে থাকবে বলে নেতৃবৃন্দরা শতভাগ আশা করছেন।
অপরদিকে দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে যাত্রীনিয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যমুনা পরিবহনের বাসটি ২৯ মে (রবিবার) ভোরে মহাসড়কে উজিরপুর উপজেলার সানুহার নামক এলাকায় পৌঁছলে মহাসড়কের পাশের এটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ১৭ জন গুরুত্বর আহত হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় বেপরোয়াগতির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। পুরো ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮