দুর্গাপুর-নেত্রকোনা-প্রতিনিধি।।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রাতের আঁধারে ৮০ শতাংশ জমির আধাপাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ভুক্তভোগী-কৃষক আব্দুল বাতেন-৬০-৮ জনকে অভিযুক্ত করে ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামা সহ থানায় এক অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের এমনটাই জানান আব্দুল বাতেন।
অভিযুক্তরা হলেন-কালিকাপুর গ্রামের মৃত হাছেন উদ্দিনের ছেলে-১-আঃ খায়ের-৬২-২-মোঃ ফেরদৌস মিয়া-৩৫-৩-আবুল হোসেন-৬৪-
বহেরাতলী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে
-৪-সাদেকুল ইসলাম-১৯-কালিকাপুর গ্রামের
আবুল খায়েরের ছেলে-৫-রেজাউল-২৩-
-৬-জহিরুল ইসলাম-২০-৭-জিয়াউর রহমান-১৮-একই গ্রামের মৃত রতন মিয়ার ছেলে
-৮-মফিজুল-৩৫-।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-নিম্ন তফসিল এ ভূমির স্বত্ববান মালিক দখলকার ছিলেন আব্দুল বাতেনের পিতা আঃ হেলিম । পরববর্তীতে আঃ হেলিমের নামে আর এস রেকর্ড হয় উক্ত ভূমির। এরপর আঃ হেলিম ৩০-০৬-১৯৮০ইং তার ছেলে আব্দুল বাতেন ও তার অপর দুই ছেলের নামে ২.৮৩ একর ভূমি ৯৬৯৩ নং সাফ কাওলা দলিলমূলে রেজিষ্ট্রী করে দেন। এর পর আব্দুল বাতেন সহ তাঁর দুই ভাইয়ের নামে বি আর এস রেকর্ড প্রস্তুত হয়। পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমে খারিজ করে এ জমি ভোগদখল করছিলেন তাঁরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৮০ শতাংশ জমিতে হিরা -২ নামক ধান রোপন করেন তাঁরা। এ ধান ১০-১৫ দিনের ভিতর কাটার উপযোগী হইবে। এর ভিতর গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩ টার দিকে
অভিযুক্তরা সহ আরো ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামা বাঁশ-কাঁচি-রশি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল বাতেনের জমিতে প্রবেশ করে রোপন করা আধা পাকা ধান কাটতে থাকে। ফজরের আযানের সময় এ ধান কাটার দৃশ্য দেখে কালিকাপুর গ্রামের ওয়াজ করুণী। পরে তিনি বিষয়টি রনি মিয়াকে জানায়। রনি মিয়া বিষয়টি আব্দুল বাতেনকে জানাইলে তিনি তার পরিবারের লোকজন নিয়ে জমির কাছে যেতেই অভিযুক্তরা গালমন্দ করতে থাকে এবং ধান কাটায় বাধা দিলে খুন করার হুমকি দেই। আব্দুল বাতেন মৌখিকভাবে নিষেধ করে জমির সামনে যেতে থাকলে অভিযুক্ত আব্দুল খায়েব তার হাতে থাকা চেওয়ার আব্দুল বাতেনকে মারার উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে মারে। আব্দুল বাতেন সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাই । পরববর্তীতে অভিযুক্তরা ৮০ শতাংশ জমির ধান কেটে অভিযুক্ত আব্দুল খায়েরের বাড়িতে নিয়ে উঠায়। উক্ত ভূমিতে অনুমান ৫০ মন ধান হয়েছিলো যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা । এই ধরণের দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটনানোর জন্য অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন আব্দুল বাতেন।
তফসিল খতিয়ান দাগ নং- বি আর এস -৩৮-দাগ নং- বি আর এস- ৭৪৪-বি আর এস- ৭৪৫-শ্রেনী- নামা-পরিমান – ৯১ শতাংশের কাতে ৮০ শতাংশ।