প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৫, ১০:২৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ১১:২২ এ.এম
তিতাসে মসজিদ-মাদ্রাসার সভাপতির পদকে কেন্দ্র করে চারজনকে কুপিয়ে জখম।।

তিতাস-কুমিল্লা-প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির পদকে কেন্দ্র করে ও পূর্বশত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে রাস্তায় ফেলে চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরতর জখম ও রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের সিরাজ ভূঁইয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে।গত রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার মজিদপুর রোডস্থ একলারামপুর মোসলেম মিয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের একলারামপুর গ্রামের বাসিন্দা আ.বাতেন ভুইয়া,আ.মালেক ভুইয়া, সেকান্দার ভুইয়া ও সাদেক হোসেন ভুইয়া।পরে রাতেই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়-`বাতেন ভূঁইয়া গ্রুপ ও সিরাজ ভূঁইয়া গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিলো। এই বিরোধের জেরে একই মহল্লার সিরাজ ভূইয়া গ্রুপ ও আহত বাতেন ভূইয়া গ্রুপের সঙ্গে কয়েক দফা মারামারির ঘটনাও ঘটে।এরই ধারাবাহিকতায় একলারামপুর ভূঁইয়া বাড়ির আল হাদিস জামে মসজিদ ও মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়ার মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির পদকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সিরাজ ভূঁইয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় বাতেন ভূঁইয়া গ্রুপ। আর সেই প্রতিশোধ নিতেই সিরাজ ভূইয়ার ছেলে- বাতিজা ও নাতিসহ ২০-৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা-ছুরি-ও দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে আ.বাতেন ভুইয়া-আ.মালেক ভুইয়া-সেকান্দার ভুইয়া ও সাদেক হোসেন ভুইয়াকে। আহত সাদেক ভুইয়া বলেন- আমরা চারজন কড়িকান্দি বাজার থেকে সি এন জি করে বাড়িতে আসছিলাম পথ্যিমধ্যে রাস্তা রোধ করে সিরাজ ভূইয়ার ছেলে,কুদ্দুস-রহিম-খোকন ও চার নাতিসহ- আমান উল্লাহ,মোস্তফা- কালামের ছেলে সানি- বাবুল- ইকবালের ছেলে ইমরানসহ প্রায় ২০-৪০ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদেরকে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে বক্তব্য নিতে সিরাজ ভূইয়ার বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত কাউকে না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারে কথা হয় সিরাজ ভূঁইয়ার ছোট ছেলে অভিযুক্ত রহিম ভূঁইয়ার সাথে। তিনি জানান-`মসজিদ কমিটির বিরোধ নিয়ে বাতেন ভূইয়া ও তার ভাতিজারা গত শুক্রবার আমার বাবাকে বেধড়ক পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।সেই হামলার জেরে আমরাও তাদের মেরেছি।এ ব্যাপারে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি-মামুনুর রশীদ জানান-`মারামারির বিষয়ে আমরা খবর পেয়েছি। এ পর্যন্ত কেউ কোন এজহার দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।তাছাড়া ইতোপূর্বে উভয় পক্ষের দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা রযেছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২