তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের ৪নং ও ৬নং ওয়ার্ডের মাঝামাঝি তিতাস নদীর ওপর অবস্থিত ব্রিজটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।মরণফাঁদের এই সেতুটির নিউজ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিক বার প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে দুই যুগের কাছাকাছি পারাপার হচ্ছেন ৪টি গ্রামের প্রায় ৯ হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর বার বার অনুরোধের পরেও এ বিষয়টি দেখার যেনো কেউ নেই। ঝুকিপূর্ণ এই ব্রিজটি অপসারণ বা সতর্ক বাতা টানিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ করে বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। কতৃপক্ষের এ উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে চরম ক্ষোভ।সরেজমিন জানা যায়, ১৯৭৭ সালে বন্দরামপুর গ্রামের মরহুম আ. রাজ্জাক চেয়ারম্যানের আমলে সেতুটি নির্মিত হয়,যার বয়স হয়েছে প্রায় ৪৭ বছর।কিন্তু গত প্রায় ২৩ বছর ধরে অবহেলিত এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি দেখার ও মেরামত করার মত যেনো কেউ নেই। ঢালাই পড়ে যাওয়ায় রডের ওপর কাঠ দিয়ে পাটাতনের মতো তৈরি করে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা। পিলারের খোয়াগুলো ঝরে গিয়ে আগলা হয়ে গেছে জং ধরা রড। ঢালাই নেই, আছে শুধু রড। সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়ে গেছে অনেক আগেই । রেলিং এর রডগুলোও চুরি হয়ে গেছে।ব্রিজের দুপাশে মাটি না থাকায় একপাশে বাশের চংগ ও অপরপ্রান্তে মাটির বস্তা বেয়ে চড়তে হচ্ছে ব্রিজে। কংকালসার এক ব্রিজটি দাড়িয়ে আছে শুধুই মরচে পড়া কিছু রডের ওপর।উপজেলা সদরে যাতায়াতের দ্রুততম ও কম খরচের মাধ্যম হওয়ায় যেখান দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৩/৪ হাজার লোক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান,বিকাল হলেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা দলবেঁধে বিনোদনের স্থান হিসেবে বিকল এই ব্রিজটির ওপর আড্ডা মারতে যায়। কিন্তু ব্রিজটির ওপর দিয়ে হাটতে গেলে পুরো ব্রিজ জুড়ে একটি কম্পনের সৃষ্টি হয়ে সেটি নড়বড় করে।সব সময় বাচ্চাদের নিয়ে অতংকে থাকি না জানি কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে কতৃপক্ষের ঘুম ভাংবেনা। বন্দরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম (৭০) জানান, আমার বোনের বাড়ি, মামার বাড়ি, খালার বাড়ি নদীর ঐ পাড়ে। আমি প্রায় ৩বৎসর হয়ে গেল বিকল এই ব্রিজ পেরিয়ে তাদের দেখতে যাইনি প্রাণ ভয়ে। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনেও যাইনা কেননা এই ব্রিজে দুর্ঘটনা মানে নিশ্চিত মৃত্যু।এ বিষয়ে সংস্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ বলেন,বন্দরামপুর-ইউসুফপুর, চরেরগাও-নয়াকান্দি ও কড়িকান্দি-বন্দরামপুরের সংযোগ সেতুগুলো নির্মাণের বিষয়ে তিতাস উপজেলা সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকের সাথে আলপকালীন তিনি বলেছিলেন দ্রুত এই কাজগুলোতে হাত দিবেন। কিন্তু তার সাথে আলোচনা করলেও কোনো ফলাফল আসেনি, তবে বর্তমানে আমরা ব্রিজটির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাব, আশা করি এবার সেতুটি নতুন করে নির্মাণে কর্তৃপক্ষের সহায়তা পাব। আশা করি সাংবাদিকগণ এ ব্যাপারে সহায়তা করবেন।এলাকার জনগণের কথা চিন্তা করে সেতুটি দ্রুত হওয়া প্রয়োজন।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। আমি খোজ নিয়ে দেখব।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮